Padma Awards 2024

তিন শতায়ুকে পদ্মশ্রী! রয়েছেন বিদেশিনিও, কার বয়স কত? কেনই বা পেলেন এই সম্মান?

বৃহস্পতিবার রাতে চলতি বছরের পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। সেখানে তিন শতায়ুর নাম জ্বলজ্বল করছে। তাঁদের মধ্যে এক জন বিদেশিনি রয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:০৪
Share:

(বাঁ দিক থেকে) গোপীনাথ সোয়াইন, শার্লট শপাঁ এবং পি চিত্রণ নাম্বুদিরিপাদ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

কেন্দ্রীয় সরকারের পদ্মশ্রী প্রাপকদের তালিকায় তিন জন এমন রয়েছেন, যাঁরা জীবনের ইনিংসে ইতিমধ্যে সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন। বয়স তিন জনেরই ১০০-র বেশি। এঁদের মধ্যে এক জন বিদেশিনিও রয়েছেন। এক জনকে প্রদান করা হচ্ছে মরণোত্তর সম্মান। বৃহস্পতিবার, প্রজাতন্ত্র দিবসের ঠিক আগের রাতে চলতি বছরের পদ্ম সম্মান প্রাপকদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। সেখানে এই তিন শতায়ুর নাম জ্বলজ্বল করছে। তাঁরা হলেন ওড়িশার কৃষ্ণলীলা গায়ক গোপীনাথ সোয়াইন, কেরলের শিক্ষাবিদ পি চিত্রণ নাম্বুদিরিপাদ (মরণোত্তর) এবং ফ্রান্সের যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শার্লট শপাঁ।

Advertisement

ওড়িশার গঞ্জম শহরের বাসিন্দা গোপীনাথ। বয়স ১০৫ বছর। গত নয় দশক ধরে তিনি কৃষ্ণের ভজন গাইছেন। তাঁর পূর্বসূরিরাও এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাঁচ বছর বয়স থেকে ভজন গাইছেন গোপীনাথ। তাঁর কণ্ঠে বার বার মূর্ত হয়ে উঠেছে কৃষ্ণলীলার নানা পর্ব, নানা মুহূর্ত। সরকার তরফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘গোপীনাথের দক্ষতা কৃষ্ণলীলায় প্রাণের সঞ্চার করেছে। তাঁর ভজন অতীত এবং বর্তমানের মধ্যে সেতু নির্মাণ করেছে।’’ শতবর্ষের চৌকাঠ পেরিয়েও থামেননি গোপীনাথ। দক্ষিণ ওড়িশায় এখনও তিনি সঙ্গীত শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তাঁর তৈরি স্কুল থেকে সঙ্গীতে সমৃদ্ধ হন বহু ছাত্রছাত্রী।

সাহিত্য এবং শিক্ষা বিভাগে পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছেন কেরলের শিক্ষাবিদ পি চিত্রণ নাম্বুদিরিপাদ। মরণোত্তর সম্মান পাচ্ছেন তিনি। নাম্বুদিরিপাদ ত্রিশূরের বাসিন্দা ছিলেন। ২০২৩ সালের ২৭ জুন ১০৩ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়। গত সাত দশক ধরে তিনি শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কেরলে শিক্ষার প্রসারে তাঁর ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিতেই এই সম্মান প্রদান করছে কেন্দ্র।

Advertisement

পদ্মশ্রী প্রাপক শতায়ুদের তালিকায় রয়েছেন এক বিদেশিনি। তিনি ফ্রান্সের শার্লট শপাঁ। যোগব্যায়ামের জগতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। শার্লট ৫০ বছর বয়স থেকে যোগব্যায়াম শিক্ষা শুরু করেন। প্রথম থেকে এই বিষয়ে তাঁর কোনও জ্ঞান ছিল না। জীবনের অর্ধশতাব্দী পার করার পর যোগের মাধ্যমে বয়সকে হারিয়ে দিয়েছেন এই বৃদ্ধা। বর্তমানে তাঁর বয়স ১০০ বছর। যোগের কৌশলেই যেন বয়সের নতুন সংজ্ঞা লিখছেন শার্লট। গত বছর ফ্রান্স সফরে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শার্লটের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement