ছবি: প্রতিনিধিত্বমূলক।
পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কার, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ থেকে মাদক চোরাচালান করে এ দেশে বিক্রি! সেই অভিযোগে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার হলেন তিন নাইজিরীয় এবং হায়দরাবাদের এক বাসিন্দা। অভিযুক্তদের থেকে ১০০ গ্রাম কোকেন, ৩০০ গ্রাম এমডিএমএ, পাঁচটি উদ্ধার করেছে হায়দরাবাদ পুলিশ এবং তেলঙ্গানা নার্কোটিক ব্যুরো। উদ্ধার হওয়া জিনিসের দাম প্রায় এক কোটি টাকা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত নাইজিরীয়দের নাম ম্যাক্সওয়েল এননাবুইসি, ওকেকে চিগোজি ব্লেসিং, আইকেম অস্টিন ওবাকা। হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার সিভি আনন্দ বলেন, ‘‘মূল অভিযুক্ত ম্যাক্সওয়েল ২০১১ সালে মুম্বইতে এসেছিলেন। মেডিক্যাল ভিসায়। কয়েক মাস পর বেঙ্গালুরুতে চলে যান তিনি। নিজের পরিচয় বদলে ফেলেন। ২০১২ সালে বিজ়নেস ভিসায় মুম্বইয়ে আসেন ব্লেসিং। এর পর তামিলনাড়ু চলে যান। ২০২২ সালে বেঙ্গালুরু এসে ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন ব্লেসিং। ২০২১ সালে স্টুডেন্ট ভিসায় ভারতে আসেন আইকেম। তার পর বেঙ্গালুরুতে বসবাস শুরু করেন।’’
পুলিশ জানিয়েছে, মুম্বইতে পৌঁছেই মাদক চোরাচালান শুরু করেন ম্যাক্সওয়েল। পরে বেঙ্গালুরুতে গিয়ে ভুয়ো নাইজিরীয় পাসপোর্ট এবং ভুয়ো ভিসা তৈরি করান তিনি। ভুয়ো নামও নেন তিনি। সেই ভুয়ো নথি দেখিয়ে বেঙ্গালুরুর এমএস নগরে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। সেই বাড়িতে বসেই মাদক চোরাচালানের কারবার চালাতেন তিনি। এর পর অচ্যুতনগরে বাড়ি ভাড়া নেন ম্যাক্সওয়েল। কাছেই ছিল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানকার পড়ুয়াদের ভুলিয়েভালিয়ে মাদক বিক্রি করতেন তিনি। হায়দরাবাদের এক যুবক তাঁকে সাহায্য করতেন বলে অভিযোগ। তাঁর সূত্রেই তদন্তে নামে হায়দরাবাদ পুলিশ। বেঙ্গালুরু এবং আশপাশের এলাকায় মাদক বিক্রি করতেন তাঁরা। ম্যাক্সওয়েল ভুয়ো নাম, পরিচয় নিয়ে সরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্টও খুলেছিলেন। শেষে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। হায়দরাবাদের কমিশনার জানিয়েছেন, অভিযুক্তেরা মাদাগাস্কার, জোহানেসবার্গ থেকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মায়ানমারের মাধ্যমে এ দেশে মাদক চোরাচালান করতেন।