— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দ্বিতীয় দফার লোকসভা ভোট শুক্রবার। আউটার মণিপুরেও রয়েছে ভোটগ্রহণ। তার দু’দিন আগে কাঙ্গপোকপি জেলায় পর পর তিনটি বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ল সেতু। মঙ্গলবার গভীর রাতে হয়েছে বিস্ফোরণ। যদিও এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। তবে ইম্ফল এবং ডিমাপুরের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী দু’নম্বর জাতীয় সড়কে যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিরাপত্তারক্ষী সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১টা ১৫ মিনিটে ঘটেছে বিস্ফোরণ। কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এর দায় স্বীকার করেনি। তদন্ত শুরু হয়েছে। গোটা এলাকা ঘেরাও করেছে বাহিনী। অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
১৯ এপ্রিল ছিল লোকসভার প্রথম দফার ভোট। ইনার মণিপুর লোকসভা কেন্দ্রে সে দিন ভোট ছিল। তাতে গুলি চলেছে। ইভিএম নষ্ট, ভোটে কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। ভোটের দিন এক প্রবীণকে গুলি করার অভিযোগও উঠেছে। তিনি আহত হয়েছিলেন। রিগিং ও বুথ দখলের অভিযোগে কংগ্রেস ৪৭ বুথে পুনর্নির্বাচনের আর্জি জানিয়েছিল। ছ’টি বুথে পুনর্নির্বাচনের সুপারিশ করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শেষ পর্যন্ত ১১টি বুথে পুনর্নির্বাচনের নিদেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। ২২ এপ্রিল এই কেন্দ্রে ১১টি বুথে আবার ভোটগ্রহণ হয়।
প্রথম দফার ভোটের পর থেকেই মণিপুরের কাঙ্গপোকপি জেনা এবং মণিপুর পশ্চিম উত্তপ্ত। সংবাদ মাধ্যম পিটিআই জানিয়েছে, পাহাড়ি এলাকা থেকে কিছু মানুষজন কাঙ্গপোকপি জেলায় এসেছেন। তার পর থেকেই আওয়াঙ্গ সেকমাই এবং লুয়াংসাংগোল গ্রামে চলছে গুলি বিনিময়। এ বার সেই জেলাতেই বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ল সেতুর একাংশ।