ছবিঃ পিটিআই।
হইচই শুনে ছুটে বেরিয়ে আসতেই পিছনে জোর একটা শব্দ! ফিরে তাকাতেই চোখের পলকে ধসে পড়ল বাড়িটা। তার পরে আর হিমাচল প্রদেশের মান্ডির রাজবন গ্রামের সেই মহিলা দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি। রাতেও হাঁটছেন, যতটা পারা যায় আরও দূরে, নিরাপদ কোনও জায়গায় সরে যেতে চেয়ে। আজ নতুন করে দুই বালকের দেহ উদ্ধারের পরে বুধবার রাতের হড়পা বানে রাজবন গ্রামে মোট মৃতের সংখ্যা পাঁচ। এখনও নিখোঁজ অনেকে।
উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। আজও বিভিন্ন জায়গা থেকে মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির খবর এসেছে। উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথের রাস্তায় আটকে পড়া তীর্থযাত্রীদের উদ্ধারে সেনার দু’টি হেলিকপ্টার আজ যোগ দেয়। চারটি হেলিকপ্টারে নতুন করে ৭০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পায়ে হাঁটিয়ে নিরাপদ জায়গায় ২৩০০ জনকে নিয়ে গিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। তবে বিকল্প রাস্তা ধসে বন্ধ থাকায় এক কিলোমিটার একটি নতুন রাস্তা তৈরি করা হয়েছে উদ্ধারকার্য চালিয়ে যাওয়ার জন্য। প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও প্রায় এক হাজার জন আটকে কেদারের পথে নানা জায়গায়। তাঁদের কাছে জল ও খাবার যা আছে, তাতে আরও পনেরো দিন অনায়াসে চলে যাবে বলে দাবি প্রশাসনের। আজ আবহাওয়া একটু ভাল ছিল উত্তরাখণ্ডে। কেদারনাথ থেকে গৌরীকুণ্ড ছাড়া প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাই খুলে দিয়েছে প্রশাসন।
এ দিকে দিল্লির রাজেন্দ্র নগরের কোচিং সেন্টারে জল ঢুকে মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা জলমগ্ন রাস্তায় আজ ষষ্ঠ দিনের প্রতিবাদ চালিয়ে গিয়েছেন। তারই ফাঁকে পড়াশোনাও করেছেন। দিল্লি সংলগ্ন উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদে দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্মীয়মাণ নালায় তলিয়ে মা ও শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর রাজনীতি অবশ্য আজও পাক খেয়েছে আপ বনাম উপরাজ্যপাল তরজার ঘোলা জলেই। দিল্লি হাই কোর্ট আগামী ৫ অগস্ট এই সংক্রান্ত মামলাটি শুনবে। রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে আজ বৃষ্টি-বিপর্যস্ত রাজ্যগুলির জন্য রাজনৈতিক ভেদাভেদ না করে আরও কেন্দ্রীয় বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন।