শুনলে অবাক হবেন না কিন্তু। এই মন্দিরে দেবতার ভোগে দেওয়া হয় না খিচুড়ি। দেওয়া হয় না বাতাসা, নকুল দানা বা প্যাঁড়া। এই মন্দিরের ভোগে দেওয়া হয় হুইস্কি এবং ওয়াইন। মন্দিরটি রয়েছে এ দেশেই।
মধ্যপ্রদেশের উজ্জৈনের এই কাল ভৈরব মন্দির স্থানীয়দের কাছে হুইস্কি দেবতার মন্দির নামেও পরিচিত।
রাজা ভদ্রসেন এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন বলে অনুমান। হাজার হাজার বছরের প্রাচীন স্কন্দ পুরাণের অবন্তী খণ্ডে এই কাল ভৈরবের অর্চনার কথা রয়েছে। পুরনো একটি মন্দিরের উপর বর্তমান মন্দিরটি তৈরি। তবে প্রাচীন এই মন্দিরের উৎপত্তি নিয়ে সংশয় রয়েছে। অনুমান, বর্তমান মন্দিরটি ৯ থেকে ১৩ শতকের মধ্যেই তৈরি হয়েছে।
প্রাচীন কালে তন্ত্র সাধকরা এই মন্দিরে মদ, মাংস, মাছ, মুদ্রা ও মৈথুন দিয়ে অর্চনা করতেন কথিত রয়েছে এমনটাও।
বর্তমান মন্দিরের গঠনশৈলীতে মারাঠা স্থাপত্যের প্রভাব রয়েছে। মারাঠা জেনারেল মহাদোজি শিন্ডে তাঁর পাগড়ি উৎসর্গ করেন দেবতাকে।
এ মন্দিরে দেবতাকে পুজোয় হুইস্কি, রাম বা ওয়াইন দেওয়া হয়। এখানে আসা ভক্তদেরও প্রসাদ হিসেবে মদের বোতল দেওয়া হয়।
পার্কিং লট থেকে মন্দিরের দিকে এগোতে থাকলে দেখা যাবে সারি সারি দোকান, যেখানে প্রকাশ্যে বিদেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হুইস্কি, রাম ও ওয়াইন বিক্রি হচ্ছে। দর্শনার্থীরা পুজো দিতে যাওয়ার জন্য এখান থেকেই মদ কিনে নেন।
পুজোর ডালায় ফুল বেলপাতার সঙ্গে থাকে এক বোতল হুইস্কি বা রাম।
পুরোহিতকে সম্পূর্ণ বোতলটাই দেওয়া হয় ভোগ হিসাবে দেওয়ার জন্য। একটা থালায় বেশ খানিকটা ঢেলে নেন তিনি। তার পর সেই হুইস্কি, রাম বা ওয়াইন দেবতার মুখে ঠেকিয়ে পুজো করেন।
দেবতা নাকি সেই হুইস্কি খেয়েও ফেলেন। এটি দর্শনার্থীরা নাকি স্বচক্ষে দেখেওছেন। যদিও এ নিয়ে নানা রকম গল্প প্রচলিত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে গণেশের দুধ খাওয়ার ঘটনাটিরও তুলনা করেন অনেকে। পুরোহিতদের দাবি, ভৈরবের মুখে কোনও গহ্বর নেই।