অমিত শাহ, বিলকিস বানো এবং আসাউদ্দিন ওয়াইসি। ফাইল চিত্র।
অমিত শাহের ‘শিক্ষা’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন আসাউদ্দিন ওয়েইসি। অল ইন্ডিয়া মজসিশ-ই-ইত্তাহাদুল মুসলিমিন (মিম) দলের প্রধান ওয়াইসি শুক্রবার গুজরাতে ভোটপ্রচারে গিয়ে অমিত শাহের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন। পরে এ নিয়ে একটি টুইটও করেন তিনি।
শুক্রবার গুজরাতের খেড়া জেলায় নির্বাচনী সভা থেকে শাহ দাবি করেন, ‘ওরা’ ২০০২ সালে ‘উচিত শিক্ষা’ পেয়ে গিয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, এই বক্তব্যের মাধ্যমে গুজরাত দাঙ্গার স্মৃতি উস্কে দিতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ধর্মীয় মেরুকরণ মদত জোগানোরও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ওয়েইসি ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন তোলেন, “কোন শিক্ষার কথা বলছেন শাহ? নারোদা পাটিয়ার শিক্ষা, গুলবর্গা সোসাইটির শিক্ষা?”
গুজরাত দাঙ্গায় গণধর্ষিতা বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মিম প্রধান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, “মাননীয় অমিত শাহ আপনার শিক্ষা হচ্ছে বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া, আপনার শিক্ষা হচ্ছে বিলকিসের তিন বছরের সন্তানের খুনিদের মুক্তি দেওয়া।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর কত শিক্ষা দেবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। শুক্রবার শাহ দাবি করেছিলেন, ‘ওদের’ শিক্ষা দেওয়ার জন্য রাজ্যে স্থায়ী শান্তিপ্রতিষ্ঠা করা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে ওয়েইসি জানান, শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে তখনই, যখন প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পাবে।
২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গা নিয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে খোঁচা দেন মিম প্রধান। চিরকাল যে কারও হাতে ক্ষমতা থাকে না, সে কথা স্মরণ করিয়ে দেন। শুক্রবার জনসভা থেকে শাহ বলেছিলেন, “রাজ্যে কংগ্রেস আমলে (১৯৯৫ সালের আগে) প্রায়ই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং হানাহানি হত।” সমাজের বড় অংশের প্রতি উদাসীন থেকে একটা ছোট অংশকে ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে কংগ্রেস ব্যবহার করত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গোধরা-পরবর্তী হিংসায় গুজরাতে বহু মানুষ হতাহত হন। রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। এই অশান্তিতে গণধর্ষিতা হন বিলকিস বানো। তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে আছাড় মেরে হত্যা করা হয়।