এ বারের বিধানসভা ভোটে রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলির মধ্যে যাতে সহজে যোগাযোগ করা যায়, সে জন্য ব্যবহৃত হবে রেডিও। এর পোশাকি নাম হ্যাম রেডিও। এর আগে আয়লা, হুদহুদ বা অন্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এমন রেডিও-যোগাযোগ ব্যবস্থার উপরে ভর করেই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল সরকার। তবে ভোটে রেডিওর ব্যবহার এই প্রথম। হ্যাম রেডিও দেখতে পুলিশের ওয়্যারলেস সেটের মতো। স্যাটেলাইটের উপরে নির্ভর না করে বাতাসে আয়নোস্ফিয়ারে তরঙ্গের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট ব্যাসের এলাকার মধ্যে যোগাযোগ তৈরি করে এটি।
ভি এইচ এফ (ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি) বা ইউ এইচ এফ (আল্ট্রা-হাই ফ্রিকোয়েন্সি)-র রেডিও সেট এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যবহার করা যায় এমন একটি অ্যাপ নিয়ে নির্বাচনী কাজে নামতে চলেছে হ্যাম রেডিও। সোমবার এ নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) পি দীপাপ প্রিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেন হ্যাম রেডিওর সদস্যেরা।
উত্তর ২৪ পরগনার ২৪টি প্রান্তিক ভোটকেন্দ্র, যেখানে মোবাইল বা পুলিশের ওয়্যারলেস ব্যবস্থা তেমন জোরালো নয়, সেখানে হ্যাম রেডিও এ বার কাজ করবে। এই ভোটকেন্দ্রগুলির অধিকাংশই হিঙ্গলগঞ্জ এবং মিনাখাঁ এলাকায়। ভোটের দিন হ্যাম সদস্যেরা নজর রাখবেন।
পাশাপাশি, জেলাশাসকের নির্বাচনী কন্ট্রোল রুমেও হ্যাম থাকবে। ফলে ওই ২৪টি ভোটকেন্দ্র থেকে সরাসরি খবর পৌঁছবে কন্ট্রোল রুমে।
হ্যাম রেডিওর সদস্য, ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের কর্তা অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস বলেন, ‘‘জনগণের জন্য বিনা পারিশ্রমিকে আমরা এই কাজ করি। লাইসেন্সপ্রাপ্ত হ্যাম সদস্যদের মধ্যে থেকে বিশেষ কয়েক জনকে বাছাই করে আমরা ভোটের দিন কাজে লাগাব।’’
তবে সমস্ত তথ্য আদানপ্রদানে যাতে যথাযথ গোপনীয়তা রক্ষা হয়, সে জন্য হ্যামের নিজস্ব সাঙ্কেতিক ভাষাও ব্যবহার করা হবে বলে জানান অম্বরীশবাবু। অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, ‘‘প্রাথমিক স্তরে আলোচনা হয়েছে। ভোটের কাজে ওঁদের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারলে প্রান্তিক ভোটকেন্দ্রগুলিতে যোগাযোগ রাখায় সমস্যা হবে না বলেই আমরা আশা করছি।’’