ধনসিংহ আরুল।
গত ৪৫ বছরের মধ্যে সারা দেশে বেকারত্বের হার চরমে পৌঁছেছে। কিছু দিন আগেই ফাঁস হওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের সেই গোপন রিপোর্টে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশ জুড়ে। তার ঠিক পরেই বেহাল কর্মসংস্থানের ছবি সামনে এসেছিল তামিলনাড়ুতে। তামিলনাড়ু বিধানসভায় ১০ সাফাইকর্মী এবং ৪ শৌচকর্মীর পদে চাকরি পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন ৪০০০-এরও বেশি প্রার্থী। আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন ডিপ্লোমা, এমবিএ, এম টেক এবং বি টেক ইঞ্জিনিয়াররাও।
কিন্তু ঠিক কতখানি খারাপ কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি, তা বোঝা যাচ্ছে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া ছাত্র ধনসিংহ আরুলের বক্তব্যে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া ২৩ বছরের আরুলও আবেদন করেছিলেন বিধানসভায় ঝাড়ুদার পদে চাকরির জন্য। সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে, পড়াশোনা শেষ করার পর বিগত চার মাস ধরে বেকার তিনি। তাই একজন ইঞ্জিনিয়ার হলেও, তিনি এখন যে কোনও কাজ করতে রাজি। এমনকি ঝাড়ুদারের চাকরিও!
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক' বলেই মনে করছে তামিলনাড়ু সরকার। কিন্তু রাজ্যের মৎস্য ও কর্মপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী ডি জয়াকুমার কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বলেন, ৫ বছরে ৬০ লাখ চাকরি দেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। এমন ঘটনার জন্য চাকরি প্রার্থীদের কেবল সরকারি চাকরি খোঁজার প্রবণতাকেও দায়ী করেছেন তিনি। চাকরি প্রার্থী তরুণ ও যুবকদের প্রতি তাঁর উপদেশ, কেবলমাত্র সরকারি চাকরির নিরাপত্তার পিছনে না ছুটে বেসরকারি চাকরির খোঁজও করা উচিৎ তাদের।
আরও পড়ুন: চলছে জেরা, আর্থিক তছরুপের অভিযোগে আজও এনফোর্সমেন্ট অফিসে তলব রবার্ট বঢরাকে
আরও পড়ুন: নর্মদা নদী বাঁচাতে অভিনব পদক্ষেপ, শিখতে পারে বাকি রাজ্যগুলিও