কন্যাকে কোলে নিয়ে তিরুঅনন্তপুরমের মেয়র আর্যা রাজেন্দ্রন। —ছবি ফেসবুক।
কোলে সদ্যোজাত। তাকে নিয়ে ঘাড় গুঁজে ফাইলে সই করছেন এক তরুণী। সেই ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল সমাজমাধ্যমে। সেই তরুণী কেরলের রাজধানী শহর তিরুঅনন্তপুরমের সিপিএম পরিচালিত পুরবোর্ডের মেয়র। আর্যা রাজেন্দ্রন।
গত ১০ অগস্ট তিরুঅনন্তপুরমের এসএটি হাসপাতালে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন আর্যা। তার পর থেকে বাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু অন্য দিকে ফাইল জমে যাচ্ছিল মেয়রের দফতরে। শনিবার এক মাস ছ’দিনের মেয়েকে কোলে নিয়েই তিনি পৌঁছে যান দফতরে। সেখানে বেশ কিছু ফাইলে সই করেন। তার পর বৈঠক করেন পুর আধিকারিকদের সঙ্গেও। কেরলে নতুন করে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ মাথাচাড়া দিচ্ছে। সে সব বিষয়েই আধিকারিকদের নির্দেশ দেন তিনি।
আর্যার এখন ২৪ বছর বয়স। তিনি সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের নেত্রী ছিলেন। সেখান থেকেই দলের সদস্যপদ পান। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কেরলের পুলসভাগুলির ভোট ছিল। তিরুঅনন্তপুরম পুরসভায় তাঁকে প্রার্থী করেছিল দল। জেতার পর এই তরুণীকেই মেয়র করার সিদ্ধান্ত নেয় পার্টি।
সেই পুরভোটের চার মাসের মধ্যেই কেরলে বিধানসভা ভোট ছিল। শহরের মানুষের জনমত দেখে কেরল সিপিএম ক্ষমতা ধরে রাখার ব্যাপারে আশাবাদী ছিল। তার পর দেখা যায়, বিধানসভা ভোটে কেরলের রীতি ভেঙে পর পর দু’বার সরকার গড়েছে বামেরা।
আর্যা এখন দেশের সর্বকনিষ্ঠ মেয়র। তাঁর স্বামী শচীন দেব কেরল বিধানসভার সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক। শচীনও এসএফআই থেকেই উঠে এসেছেন। বস্তুত, ছাত্র আন্দোলনের সময়েই আর্যা-শচীনের বন্ধুত্ব হয়। তার পর তা গড়ায় প্রেমে। গত বছর সেপ্টেম্বরে তাঁরা বিয়ে করেন। সিপিএমের এই তরুণ দম্পতি মেয়ের নাম রেখেছেন দুয়া।