গাড়ির পাশাপাশি বাইক পুলিশের অন্যতম বড় হাতিয়ার। দুষ্কৃতিদের তাড়া করে ধরতে বাইকের উপর ভরসা করতে হয় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশকে। এক ঝলকে দেখে নিন ভারতের কোন রাজ্যের পুলিশ কোন বাইক ব্যবহার করে থাকে। বিশেষভাবে তৈরি হন্ডা সিবিআর ২৫০ এর উপরে ভরসা রাখে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ।
দিল্লি ও পঞ্জাব পুলিশ নিজেদের কাজের জন্য ব্যবহার করে বাজাজ পালসারের বাইক। ১৮০ সিসি ও ২২০ সিসি দু’ধরনের ইঞ্জিনের বাইকই ব্যবহৃত হয় পেট্রলিংয়ের কাজে। পুলিশের ব্যবহারের জন্য টুলবক্স ও বিভিন্ন ধরনের আলোর ব্যবস্থা থাকে এই বাইকে।
হিরোর স্প্লেনডর জ্বালানি সাশ্রয়ী একটি বাইক। গোয়া পুলিশ নিজেদের কাজের জন্য এই বাইকটি ব্যবহার করে থাকে। গোয়ার সরু সরু রাস্তায় সহজেই পৌঁছে যেতে পারে এই বাইক।
রোজকার কাজের জন্য হিরো অ্যাচিভার বাইকটি ব্যবহার করে মুম্বইয়ের মহিলা পুলিশ ব্রিগে়ড। হাল্কা ওজনের এই বাইক চালানো সুবিধাজনক। পাশাপাশি এই বাইকের মাইলেজও অনেক বেশি। তাই মুম্বইয়ের মহিলা পুলিশের পছন্দের প্রথম তালিকায় রয়েছে এই বাইক।
ম্যাঙ্গালুরু পুলিশ নিজেদের কাজের জন্য ব্যবহার করে টিভিএসের অ্যাপাচে বাইকটি। পুলিশের ব্যবহারের জন্য এই বাইটি সজ্জিত হয়েছেও বিশেষভাবে। বিশেষ ধরনের টুলবক্স, সাইরেন ও আলো দিয়ে সাজানো এই বাইক ম্যাঙ্গালোর পুলিশের বড় হাতিয়ার।
পুলিশের সঙ্গে রয়্যাল এনফিল্ড বাইকের সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গিক। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই পুলিশ অন্যান্য বাইকের পাশাপাশি এই বাইকটিও বিপুল ভাবে ব্যবহৃত হয়। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রাখার জন্য পুলিশের এই বাইকে বিভিন্ন ব্যবস্থাও করা থাকে।
রয়্যাল এনফিন্ডের পাশাপাশি নিজেদের ব্যবহারের জন্য বেশ কয়েকটি হার্লে ডেভিডসন বাইক এনেছে কলকাতা পুলিশ। তবে ওই বাইকগুলি রোজকার ব্যবহারের জন্য নয়। ভিআইপিদের কনভয় ও কিছু বিশেষ কাজের জন্য হার্লে ডেভিডসন স্ট্রিট ৭৫০ বাইকটি ব্যবহার করে কলকাতা পুলিশ।