Jammu-Kashmir Terror Attack

পহেলগাঁও জঙ্গিহানা: ঘাতকদের মধ্যে ২ জন স্থানীয় প্রশিক্ষণ নেয় পাকিস্তানে! গুলি চালানোর আগে ছ’জনের ছক ছিল অন্য

জানা যাচ্ছে, ওই জঙ্গিদের পরনে ছিল খাকি পোশাক। তাদের সঙ্গে ছিল অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং প্রচুর বুলেট। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এই হামলাটি চালিয়েছে লশকর-ই-ত্যায়বা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫ ২২:১১
Share:

প্রথমে গুলি নয়, আইডি বিস্ফোরণের ছক করেছিল জঙ্গিরা। তবে পরে পরিকল্পনা বদলে দু’টি দলে ভাগ হয়ে যায় জঙ্গিরা। তার পর একে ৪৭ নিয়ে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় তারা। জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার পর এমনই তথ্য উঠে আসছে। এ-ও জানা যাচ্ছে, মোট ছ’জন ঘাতক ছিল। তাদের মধ্যে দু’জন আবার স্থানীয় বাসিন্দা। তারা সকলে পাকিস্তানে গিয়ে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নেয়।

Advertisement

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় অন্তত ২৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মৃত পর্যটকদের মধ্যে বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা যেমন রয়েছেন, তেমনই আছেন বিদেশিরাও। জানা যাচ্ছে, ওই জঙ্গিদের পরনে ছিল খাকি পোশাক। তাদের সঙ্গে ছিল অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং প্রচুর বুলেট। সূত্রের খবর, হামলার আগে জঙ্গিরা ঘণ্টাখানেক ধরে এলাকা রেকি করেছিল। হামলা চালানোর পর কোন রাস্তা দিয়ে তারা পালাবে, সব ছকই কষে নিয়েছিল তারা। আর সেই কাজ সহজ করে দিয়েছিল দুই হামলাকারী। কারণ, তারা দু’জন স্থানীয় বাসিন্দা। জানা যাচ্ছে, ২০১৭ সালে পাকিস্তানে গিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয় তারা। পরে পর্যটকদের সঙ্গে মিশে গিয়ে পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়েছে।

শুধু তাই নয়, হামলার আগে পুরো এলাকা রেকি করেছিল জঙ্গিরা। আর গুলি করার আগে পর্যটকদের নাম এবং পরিচয় জিজ্ঞাসা করে তারা। কর্নাটকের বাসিন্দা পল্লবী রাও ভূস্বর্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন স্বামী ও পুত্রের সঙ্গে। তাঁর দাবি, স্বামীকে গুলি করলেও তাঁকে মারেনি ঘাতকেরা। বরং তিনি যখন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমাকেও মেরো ফেলো,’ তখন এক জঙ্গি বল, ‘না, তোমায় মারব না। তুমি গিয়ে মোদীকে বোলো।’’

Advertisement

অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। চারপাশে জঙ্গল। হামলার জন্য ওই নিরিবিলি এলাকাটাই বেছে নিয়েছিল জঙ্গিরা। প্রত্যক্ষদর্শী এক পর্যটক পুলিশকে জানিয়েছেন, জঙ্গিরা গুলি চালানোর আগে অনেকের কাছেই পরিচয়পত্র দেখতে চায়। সেই সময় সেখানে পুলিশ বা সেনা ছিল না।

ইতিমধ্যে শ্রীনগরে পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাতেই কয়েক জন সেনাকর্তা এবং আমলাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement