আপাতত ভোটের বোঝাপড়া না-ই বা হল। তাতেও বনিবনার অভাব নেই।
সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় বা রাজস্থানের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের জোট না হলেও, রাহুল গাঁধী ও অখিলেশ যাদবের বনিবনায় কোনও সমস্যা হচ্ছে না। কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি, দু’দলের নেতাদেরই দাবি, এই রাজ্যগুলিতে তাদের জোট না হওয়ার সঙ্গে লোকসভা ভোটের আগে বোঝাপড়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
কংগ্রেসের এক নেতার যুক্তি, ‘‘প্রথমত, এই তিনটি রাজ্যে কংগ্রেস জিতে আসতে পারলে, লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসই চালকের আসনে চলে আসবে। সে ক্ষেত্রে বাকি দলগুলি কংগ্রেসের পিছনে দাঁড়াতে বাধ্য হবে। দ্বিতীয়ত, এই রাজ্যগুলিতে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টির কোনও শক্তিই নেই। তাই তাদের বেশি আসন ছাড়ার যৌক্তিকতা নেই। যেমন উত্তরপ্রদেশে জোট হলে এই দু’টি দল কংগ্রেসকে খুব বেশি আসন ছাড়তে রাজি হবে না। কারণ, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের শক্তি খুবই কম।’’ এমনকি লোকসভা ভোটের সময়েও যদি উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে অখিলেশ ও মায়াবতীর জোট না হয়, তাতেও চিন্তার কারণ দেখছেন না কংগ্রেস নেতারা। তাঁদের হিসেব, উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ-মায়া জোট হলে বিজেপির যথেষ্ট বিপদ। মায়াবতী যদি কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব রাখতে চান, তা হলেও তাঁর সঙ্গে জোট করবেন অখিলেশ। আখেরে তাতেও কংগ্রেসেরই সুবিধা। কারণ ভোটের পরে তাঁদের বিজেপির বিরুদ্ধে এককাট্টা হতেই হবে।
গত শনিবারই অখিলেশ জানিয়ে দিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের জন্য তিনি আর অপেক্ষা করতে রাজি নন। কংগ্রেসের বদলে তিনি বিএসপি, বাম বা অন্য দলগুলির সঙ্গে কথা বলবেন। এর আগে মায়াবতীও জানিয়ে দিয়েছেন, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবেন না। বিএসপি-র এক নেতা বলেন, ‘‘আসলে বহেনজি কংগ্রেসকে ছাড়লেন, এমনটা নয়। কংগ্রেসই রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ে বাকিদের খুব বেশি আসন ছাড়তে চাইছে না। ফলে বিএসপি ও সমাজবাদী পার্টিকেই জোটের আশা ছাড়তে হচ্ছে।’’
কংগ্রেস নেতাদের যুক্তি, অখিলেশ বাস্তব পরিস্থিতিটা ভালই জানেন। তাই রাহুল গাঁধীও বার্তা দিয়েছেন, বিধানসভা ভোটে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট না হলেও লোকসভায় সব বিরোধী দলই বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হয়েই লড়বে।