পাঁচ রাজ্যের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ-সহ চার রাজ্য সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। এই পাঁচ রাজ্যে মোট আসন সংখ্যা ৬৯০। এর মধ্যে জোট-সহ বিজেপি পেয়েছে ৩৭৩টি আসন। অন্য দিকে বিরোধীদের প্রাপ্ত মোট আসন সংখ্যা জুড়লে দাঁড়ায় ৩১৯-এ। তাই পরিসংখ্যানের দিকে তাকিয়ে বিরোধীরা বলছে তারা যদি জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করত তবে ফল অন্য রকম হতে পারত।
জয়ের পর বিজেপি-র উল্লাস। নিজস্ব চিত্র
পাঁচ রাজ্যের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ-সহ চার রাজ্য সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। এই পাঁচ রাজ্যে মোট আসন সংখ্যা ৬৯০। এর মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জোট-সহ বিজেপি পেয়েছে ৩৭৩টি আসন। অন্য দিকে বিরোধীদের প্রাপ্ত মোট আসন সংখ্যা জুড়লে দাঁড়ায় ৩১৬-এ। তাই পরিসংখ্যানের দিকে তাকিয়ে বিরোধীরা বলছে তারা যদি জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করত তবে ফল অন্য রকম হতে পারত।
কারণ, দু’পক্ষের মধ্যে ব্যবধান মাত্র ৫৪টি আসনের। জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করলে এই ৫৪টি আসনের ব্যবধান সহজেই টপকে যেতে পারত বলে মনে করছে বিরোধীরা। পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে তৃণমূল-সহ কয়েকটি দল বিরোধী জোটকে শক্তিশালী করার ডাক দিলেও বাস্তবে তা অধরা থেকে গিয়েছে। বরং ভোটের মাটিতে উল্টো ছবি দেখা গিয়েছে। কোথাও প্রচারে পরস্পরের বিরুদ্ধে তাল ঠুকেছেন। ফলে তা প্রকারান্তরে তেল-জল দিয়েছে বিজেপি-কেই। অন্য দিকে কংগ্রেস নেতৃত্বেও বিরোধীরা জোটবদ্ধ হতে চাননি।
উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি (১২৫), কংগ্রেস (২) এবং বিএসপি (১) যদি জোট বাঁধত তবে সেখানে ফল অন্য রকম হতে পারত বলে মনে করেছে বিরোধীরা। কিন্তু তা হয়নি । তিন দলই পৃথক ভাবে লড়াই করেছে। গোয়া, উত্তরাখণ্ড, মণিপুরের ছবিটাও একই রকম।
আবার অন্য দিকে, ভোট পরিসংখ্যান বলছে বিজেপি-র একার প্রাপ্ত আসন সংখ্যা ৩৫৫। বিজেপি জোট পেয়েছে ৩৭৪টি আসন।
চার রাজ্যে জয়ের দিনে নরেন্দ্র মোদী দলের সদর দফতর থেকে বলেন, এই জয় বলে দিচ্ছে ২০২৪-এ কেন্দ্রে ফের বিজেপি-র ক্ষমতায় আসা পাকা। বিরোধীদের কেউ কেউ বলেছেন, তা রুখতে গেলে এই ফলাফল থেকে শিক্ষা নিয়েই জোটবদ্ধ হাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। কিন্তু তা সম্ভব করতে পারবে কি বিরোধীরা? তা সময়ই বলবে।