সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
গুজরাত হিংসার তদন্তের আবেদন জানানো যাবতীয় মামলার শুনানি আজ বন্ধ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, মামলাগুলি বর্তমান সময়ে আর প্রাসঙ্গিক নয়। ২০০২-২০০৩ সাল থেকে সেগুলি বকেয়া ছিল। গুজরাতে গোধরা পরবর্তী হিংসার ঘটনায় হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলাগুলি হয়েছিল।
প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ বলেছে, যে ১১টি মামলার শুনানি বন্ধ করা হয়েছে, তার মূল আবেদন ছিল হিংসার তদন্তভাব সিবিআইকে হস্তান্তরিত করা হোক। সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন হাই কোর্টে খারিজ হয়ে গিয়েছিল। একটি আবেদন ছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফেও। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও ওই বেঞ্চ ছিলেন বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট এবং বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা। বেঞ্চ বলেছে, বিষয়গুলি বিবেচনার পরে আদালত একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে। যাকে বড় ন’টি মামলার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছিল। সিটের তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। শীর্ষ আদালতে তিনি জানান, ৯টি মামলার মধ্যে আটটির নিষ্পত্তি হয়েছে নিম্ন আদালতে। বাকি রয়েছে নারদা গাঁও মামলা। সেটিরও শুনানি চূড়ান্ত পর্যায়ে।
এর পরে আদালত জানায়, আবেদনকারীদের আইনজীবীও মেনে নিয়েছেন, এই মামলাগুলি বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। শুধু সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদের একটি মামলা বিবেচনার প্রয়োজন হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ‘‘বিষয়গুলি এখন আর প্রাসঙ্গিক নয়। তাই আদালত মনে করে, এই আবেদনগুলি শুনানির জন্য গ্রহণের কোনও প্রয়োজন নেই।’’ আদালত জানিয়েছে, আইন মোতাবেক নারোদা গাঁও মামলা শেষ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সিট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।