মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে বিনা অনুমতিতেই এক বিচারকের গাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অসুস্থ উপাচার্যকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন দুই ছাত্র। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপি-র দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের ঘটনায় ওই দুই ছাত্রকে জামিন দিল হাই কোর্ট। মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতি সুনীতা যাদব এবং বিচারপতি অমরনাথ কেশরবানির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ওই দিনের ঘটনা এবং পরিস্থিতি বিচার করে দুই অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হল।
ঘটনাটি গত ১১ ডিসেম্বরের। শিবপুরীর পিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জিৎ সিংহ দিল্লি থেকে ঝাঁসি যাওয়ার জন্য একটি ট্রেনে উঠেছিলেন। কিন্তু আচমকা তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। কয়েক জন ছাত্র তাঁকে তড়িঘড়ি স্টেশনের বাইরে নিয়ে আসেন। বেশ কিছু ক্ষণ অপেক্ষার পরেও তাঁরা অ্যাম্বুল্যান্স বা অন্য কোনও গাড়ি ভাড়ায় পাননি। স্টেশনের বাইরেই ছিল এক জন বিচারকের গাড়ি। অভিযোগ, কাউকে কিছু না বলে ওই গাড়িতে উপাচার্যকে বসিয়ে দুই ছাত্র হাসপাতালে চলে যান। ওই গাড়ির চালক পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। পরে হাসপাতালের বাইরে থেকে উদ্ধার হয় গাড়িটি। দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় এবিভিপির দুই ছাত্রকে।
ওই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়াদের একাংশ। থানার বাইরেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অন্য দিকে, এর আগে আদালত এক বার ধৃতদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। তখন আদালত জানায়, কাউকে সাহায্য করার জন্য আর এক জনের গাড়ি চুরি করা কোনও যুক্তি হতে পারে না। যদিও আবার জামিনের আবেদন করেন দুই ছাত্রের আইনজীবী। তিনি সওয়াল করেন, ইতিমধ্যে ওই গাড়িটি পুলিশ উদ্ধার করেছে। তার মক্কেলরা কোনও দাগী অপরাধী নন। তাঁরা একটি অবস্থায় পড়ে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। গাড়ি চুরির কোনও পরিকল্পনা ছিল না দুই ছাত্রের। বস্তুত, ওই দুই ছাত্রের হয়ে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানও হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁর আবেদন ছিল মানবিকতার খাতিরে দুই ছাত্রের ‘অপরাধ’ মার্জনা করা হোক।