—প্রতীকী চিত্র।
ভালবেসে একসঙ্গে বাঁচার উপায় নেই! তাই ঠিক করেছিলেন এক সঙ্গে শেষ করবেন জীবন। পাশাপাশি দাঁড়িয়েও ছিলেন এসে রেল লাইনের ধারে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে এলেন প্রেমিকা। তাঁর চোখের সামনেই প্রেমিকের শরীরটি লাফিয়ে পড়ল চলন্ত ট্রেনের সামনে। মুহূর্তে টুকরো টুকরো হয়ে গেল শরীরটা।
রাজস্থানের ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাতে এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪ বছরের যুবক রাজু ভাটের। রাজু এক জন দিনমজুর। তাঁর দুই সন্তান আছে। রয়েছেন স্ত্রীও। তার পরেও রাজুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তাঁরই গ্রামের ২০ বছরের এক তরুণীর। রাজুর পরিচিতেরা জানিয়েছেন, দু’জনেই বুঝেছিলেন বিয়ে করা সম্ভব নয়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। তার পরই এক সঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দু’জনে। পুলিশকে ওই তরুণী জানিয়েছেন, দ্রুতগতিতে ট্রেন আসতে দেখে ভয় পেয়ে পিছিয়ে যান তিনি। কিন্তু রাজু ঝাঁপ দিয়ে দেন।
এই ঘটনার পর রাজুর পরিবার ওই তরুণীকেই রাজুকে খুনের জন্য অভিযুক্ত করেছে। রাজুর পরিবারের দাবি, ওই তরুণী তাঁর পরিবারের সাহায্যে রাজুকে হত্যা করে তাঁর দেহ ট্রেনের সামনে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। রাজুর ভাই এ-ও জানিয়েছেন, ঘটনাটির দিন কয়েক আগেই রাজু তাঁকে বলেছিলেন, তাঁকে হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল কেউ। রাজুর পরিবার জানিয়েছে, অপরাধীকে গ্রেফতার করা না হলে রাজুর দেহ সংগ্রহ করবে না তারা। পুলিশ গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।