প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি পরিকাঠামো এখনও সক্রিয়। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, কাশ্মীরের হাড়কাঁপানো শীতেও দু’শো জনের কাছাকাছি জঙ্গিদের দল ভারতে ঢোকার জন্য নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে অপেক্ষা করছে। জঙ্গিরা মূলত রাজৌরি-পুঞ্চ এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে। তবে তাঁর আশ্বাস, তৎপর রয়েছে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে আজ সেনাপ্রধানের দাবি, মণিপুর-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক শান্ত হয়েছে।
৭৬তম সেনাদিবস উপলক্ষে লখনউ-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, সামগ্রিক ভাবে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখন প্রায় স্বাভাবিক। তবে পিরপঞ্জালের দক্ষিণ প্রান্ত ও রাজৌরি-পুঞ্চ এলাকায় কিছু সময় ধরে জঙ্গি তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। গত ডিসেম্বরের শেষে পুঞ্চে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় হামলাটি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেনা কনভয়ে হামলায় মারা যান পাঁচ জওয়ান। যদিও পাণ্ডের দাবি, জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসের ঘটনা অনেক কমেছে। সন্ত্রাসের শিকড় উপড়ে ফেলতে সকলের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে। তবে সেনাপ্রধান মনে করেন, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষবিরতি চালু থাকলেও জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যা বুঝিয়ে দিচ্ছে ওপারে এখনও সন্ত্রাসের পরিকাঠামো সক্রিয়। এই পরিস্থিতিতে চিন ও পাকিস্তানের কথা মাথায় রেখে পরিকাঠামো নির্মাণে জোর দেওয়া হয়েছে। বাঙ্কার ও ফরওয়ার্ড পোস্ট নির্মাণ ছাড়াও আধুনিক হাতিয়ার ও প্রযুক্তি ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
মনোজ পাণ্ডে আজ দাবি করেন, মণিপুরে এখনও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও, সেনার হস্তক্ষেপে রাজ্যের পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক শান্ত। শান্তিস্থাপন করতে গিয়ে সেনা যে ভাবে প্ররোচনা সত্ত্বেও সংযমী মনোভাব দেখিয়েছে তা প্রশংসনীয় বলেই মনে করেন তিনি। পাণ্ডের কথায়, ‘‘উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তিচুক্তির ফলে ওই এলাকার বিস্তীর্ণ অংশে শান্তি ফিরে এসেছে।’’ তবে সেনা সূত্রের মতে, সম্প্রতি মায়ানমারে সে দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে জঙ্গিদের একটি বড় অংশ ভারতে প্রবেশের চেষ্টায় রয়েছে। সীমান্ত সংলগ্ন স্থানীয় মানুষও ঝামেলা এড়াতে ভারতে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে মায়ানমার সংলগ্ন মণিপুর, মিজ়োরাম সীমান্তে অনুপ্রবেশের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, এই বিষয়টির দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে।