ছবি পিটিআই।
বুথ-ফেরত সমীক্ষার ফল শাসক জোটের দিকেই ঝুঁকে। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাজোটের দাবি, সরকার গড়বে তারাই। অসমে ভোটের ফলের উপরে শুধু বিজেপির সম্মান নয়, এনআরসি ও সিএএ-র ভবিষ্যৎও নির্ভর করবে অনেকটাই। বিজেপি জিতলে প্রমাণ হয়ে যাবে সিএএ- বিরোধী আন্দোলনের আঁতুড়ঘর অসমেই আর সিএএ-বিরোধিতার প্রাসঙ্গিকতা নেই। কংগ্রেসের কাছে অসমের ভোট অস্তিত্বরক্ষার সংগ্রাম। বিজেপি ভোটপ্রচারের সব সভায় এআইইউডিএফকে অনুপ্রবেশকারী ও বাংলাদেশিদের দল বলেছে। চোরাশিকার, লাভ জেহাদ, জমি জেহাদের জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বদরুদ্দিন আজমলের দলকে। তাই ভোটের ফল তাদের কাছে পাল্টা জবাব দেওয়ার হাতিয়ার।
মধ্য ও নমনি অসমের ৪০ আসনে গত বার বিজেপি ও কংগ্রেস ১১টি করে আসনে জিতেছিল। বড়োভূমিতে ১২টি আসনই ছিল বিপিএফের হাতে। গত বার বিপিএফ ছিল বিজেপির শরিক। পরিষদ হাতছাড়া হলেও বড়ো স্বশাসিত পরিষদের ভোটে একক বৃহত্তম দল হয়েছে বিপিএফই। বিজেপি তাঁদের সঙ্গে যে ভাবে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করে বড়োভূমি ছিনিয়ে নিয়েছে- তা ভুলতে পারছেন না হাগ্রামা মহিলারি।
এ বারের নির্বাচনে দু’পক্ষই পাখির চোখ করেছিল চা বাগানের ভোটকে। বিজেপি কথা দিয়েও শ্রমিকদের দিনমজুরি তেমন বাড়াতে পারেনি। কংগ্রেস ক্ষমতার আসার পরেই মজুরি ৩৬৫ টাকা করার গ্যারান্টি দিয়েছে। বিজেপি অরুণোদয় প্রকল্পে রাজ্যের ৩০ লক্ষ পরিবারের মহিলাদের মাসে তিন হাজার টাকা ও প্রথম বছরেই ১ লক্ষ বেকারকে সরকারি চাকরি দেবে বলেছে। দাবি করেছে, তারা গন্ডারের শিকার বন্ধ করেছে। অনুপ্রবেশকারীদের উৎখাত করে দখলমুক্ত করেছে সত্রের জমি। ক্ষমতায় এলে বন্যামুক্ত অসম গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহেরা।