প্রতীকী ছবি।
বোনের শাপমুক্তির পিছনে আসলে প্রাচীন গুপ্তধনের হাতছানিতেই পুজো, যজ্ঞ আর শিশুবলির আয়োজন করেছিল পুলিশের গুলিতে মৃত পুলকেশ শহরীয়া। গোটা ঘটনায় একাধিক তান্ত্রিকের উস্কানি রয়েছে বলে দাবি করলেন হাসপাতালে ভর্তি তার বাবা।
শনিবার কলাইগাঁওয়ের কুলশিপাড়া গ্রামে শহরীয়া পরিবারের আট সদস্য পুজোপাঠ শেষে আত্মীয়ের তিন বছরের ছেলেকে বলি দেওয়ার আগেই পুলিশ গুলি করে যাদববাবু, পুলকেশ ও শ্যালিকার ছেলে ১৬ বছরের সুমনকে জখম করে। তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত কাল মারা যায় পুলকেশ।
আজ যাদববাবু হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, এই ঘটনায় তাঁর দাদা কেশব শহরীয়া, তান্ত্রিক রমেশ শহরীয়া-সহ অনেকে জড়িত। ২০১০ সালে যাদববাবু অসুস্থ হলে কেশববাবু তাঁকে ও ছেলেকে বিভিন্ন তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যান। রমেশ শহরীয়ার কাছে গিয়ে তিনি সুস্থ হন। বিশ্বাস বাড়ে। চার বছর আগে মেয়ে আত্মঘাতী হয়। গোটা পরিবার মানসিক ভাবে রমেশ ও তার সঙ্গী তান্ত্রিকদের বশে চলে যায়। তাদের দেওয়া ‘দৈব ওষুধ’ খেতে থাকেন শহরীয়ারা। সরকারি চাকরি ও অঢেল ধনের লোভ দেখিয়ে পুলকেশের মগজধোলাই করে তান্ত্রিক। রমেশ দাবি করে, বাড়ির মন্দিরের নীচেই আছে ভারতের ৫৩ নম্বর জ্যোতির্লিঙ্গ আর প্রাচীন রত্নভাণ্ডার।
মা পূর্ণকান্তিদেবীর অভিযোগ, রমেশ ছেলেকে বশ করে নিয়েছিল। রেলে চাকরি দেওয়ার জন্য চার লক্ষ টাকাও নিয়েছে। শনিবার ছেলেই তাঁদের পুজোয় বসতে বাধ্য করে। তিনি বলেন, ‘‘আমার বোন, ভগ্নীপতি, বোনপোরা সেদিন বাড়িতে ছিল বলে তাঁরাও জড়িয়ে পড়ে। ছেলের দেওয়া ‘মন্ত্রঃপূত’ চা পান করার পরেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে যায়। আমাদের কিছু করার ক্ষমতা ছিল না।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।