নীরব মোদীর তিন ফ্ল্যাটের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ সামলানো থেকে ওই সম্পত্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান প্রশাসনিক মহলও। —ফাইল চিত্র।
ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী দেশ ছেড়েছেন প্রায় পাঁচ বছর। তাঁর প্রায় ৪,৪০০ কোটির টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তার মধ্যেই দক্ষিণ মুম্বইয়ে নীরবের তিনটি প্রাসাদোপম ফ্ল্যাট। সেই তিনি ফ্ল্যাট পাঁচ বছর হল তালাবন্দি। তার দেখভাল করতে গিয়ে অসুবিধায় প্রশাসন। তিন ফ্ল্যাটের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ সামলানো থেকে ওই সম্পত্তির ভবিষ্যৎ, তা নিয়ে সন্দিহান প্রশাসনিক মহল।
দক্ষিণ মুম্বইয়ের বরলীর ‘সুমুদ্র মহল’-এ নীরবের তিন ফ্ল্যাটের বাজারমূল্য মোটামুটি ১১০ কোটি টাকা। বেশ কয়েক বার বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তি নিলাম করার কথা ভেবেছে প্রশাসন। কিন্তু নানা আইনি অসুবিধায় বার বার ঠোক্কর খেয়েছে সেই পদক্ষেপ। তা হলে কী করা যায় তিনটি ফ্ল্যাট? একাধিক সংবাদমাধ্যম ইডি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, নীরব দেশ ছেড়ে পালানো ইস্তক ওই তিন ফ্ল্যাটের দেখভালে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়েছে। এবং হচ্ছে। ইডি সূত্র এ-ও জানাচ্ছে, তিনটি ফ্ল্যাটকে গেস্ট হাউসে রূপান্তরিত করার কথাও ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তাতে যা খরচ হবে, তা কোনও অভিজাত হোটেলে তৈরির খরচের বেশি হবে। তাই সে দিকেও কেউ যাননি। অন্য দিকে, ওই তিন ফ্ল্যাটের দামি আসবাবপত্র, পেন্টিংস ইত্যাদি রক্ষণাবেক্ষণে কোনও প্রশাসনিক দফতরই দায়িত্ব নিতে নারাজ। এ দিকে মাসিক রক্ষণাবেক্ষণের খরচ রয়েছে। আছে অন্যান্য ব্যয়ও। এ সব নিয়ে ‘চিন্তায়’ ইডি।
সূত্রের খবর, ইডির মধ্যে তিন ফ্ল্যাটের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। কারণ, ওই ফ্ল্যাটগুলোর বাজারদর ক্রমশ কমছে বলে জানাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু সেই আলোচনার নিটফল শূন্য।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে লোন প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত হন নীরব। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশছাড়া ওই ব্যবসায়ী। ইডি তাঁকে পলাতক ঘোষণা করে। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে গ্রেফতার হন নীরব। এখনও ভারতে তাঁর প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া চলছে।