নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ভোট কর্মীরা। — ফাইল চিত্র।
রাত পোহালেই উত্তর পূর্বাঞ্চলের দুই রাজ্যে ভোট। তুলনামূলক ছোট দুই রাজ্য মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডের ভোটের দিকে তাকিয়ে দেশের শাসকদল বিজেপি থেকে শুরু করে কংগ্রেস। কারণ ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে এই শেষ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ভোট। তবে এই দু’টি রাজ্যেই জাতীয় রাজনৈতিক শক্তিগুলির পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক আঞ্চলিক দলগুলিও।
৬০ আসন বিশিষ্ট দুই রাজ্যের আসনে টানটান লড়াই এ বার। তাই ভোটের প্রচারে জোর দিতে বিজেপি ও কংগ্রেসের মতো জাতীয় দলগুলি বার বার ব্যবহার করেছে তাঁদের প্রধান নেতাদের। দুই রাজ্যের ভোটে যেমন বিজেপির হয়ে প্রচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তেমনই কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন রাহুল গান্ধীও। নির্বাচন কমিশন গত তিন মাস ধরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছিল। সোমবার কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ শান্তিপূর্ণ ভোট করানো। যদিও ত্রিপুরার ক্ষেত্রে কমিশন এই কাজে সাফল্য পেয়েছে।
মেঘালয়ে গত পাঁচ বছর ন্যাশানাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ও বিজেপি মিলে সরকার চালালেও, এ বারের ভোটের পৃথক ভাবে লড়াই করছে তাঁরা। কনরাড সাংমার নেতৃত্বাধীন দল এনপিপি লড়াই করছে ৫৭টি আসনে। আর বিজেপি ৬০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। ভিনসেন্ট পালার নেতৃত্বে কংগ্রেসও ৬০টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। স্থানীয় ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি (ইউডিআই)আবার ৪৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। মুকুল সাংমার নেতৃত্বে এই প্রথম মেঘালয়ের বিধানসভা ভোটে অংশ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। তাঁরাও ৫৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। তাঁদের হয়ে প্রচার করতে দু’বার মেঘালয়ে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘলায়ে থেকে প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নাগাল্যাণ্ডেও ভোট সোমবার। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই রাজ্যে আবার জোট করে লড়াই করছে বিজেপি। নিফো রিওর দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (এনডিপিপি)-র সঙ্গে জোটে লড়াই করছে দেশের শাসকদল। এনডিপিপি ৪০টি আসনে, ২০টি আসনে বিজেপি লড়াই করছে। এই দু’দল মিলেই নাগাল্যাণ্ড শাসন করেছে। আবারও তাঁরা ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। নাগা পিপলস পার্টি (এনপিপি) ২২টি আসনে লড়াই করছে। কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ২৩টি আসনে।
২৭ তারিখ ভোটের পর, মার্চ মাসের ২ তারিখে ভোট গণনা। ওইদিন মেঘালয়, নাগাল্যান্ডের সঙ্গে ভোট গণনা হবে ত্রিপুরারও। উত্তর–পূর্বাঞ্চলের এই রাজ্যে ভোট হয়ে গিয়েছে ১৬ ফেব্রুয়ারি। তাই সোমবারের ভোটযুদ্ধের পর ২ মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ফলাফল জানতে।