Health Task Force

হাসপাতালের সুরক্ষা নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথায় কেন্দ্র

হাসপাতালের পরিকাঠামো ও পরিষেবার দিক থেকে জেলা হাসপাতালগুলিতে কী ধরনের খামতি রয়েছে, দেখতে বলা হয়েছে জেলাশাসক কিংবা ডিএসপি পদমর্যাদার কোনও পুলিশ অফিসারকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৪ ০৮:২১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

সরকারি হাসপাতালগুলির সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্রুত খতিয়ে দেখার জন্য সব রাজ্যকেই পরামর্শ দিল কেন্দ্র। আর জি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আজ সব রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজি-দের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব অপূর্ব চন্দ্র। স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা অবিলম্বে নিশ্চিত করার ব্যাপারে প্রতিটি রাজ্যকেই জোর দিতে বলেন তাঁরা।

Advertisement

আজকের বৈঠকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের নিরাপত্তায় নতুন ধরনের কোনও ব্যবস্থা প্রয়োগ করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রস্তাব জমা দিতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার কাজে হাসপাতালে কর্মরত বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। রোগীদের পরিবারের লোকজনের ভিড় কমাতে পরিষেবা দেওয়ার কাজে যথেষ্ট সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন কি না, তা-ও বিশদে জানাতে বলা হয়েছে।

এর পাশাপাশি হাসপাতালের পরিকাঠামো ও পরিষেবার দিক থেকে জেলা হাসপাতালগুলিতে কী ধরনের খামতি রয়েছে, দেখতে বলা হয়েছে জেলাশাসক
কিংবা ডিএসপি পদমর্যাদার কোনও পুলিশ অফিসারকে।

Advertisement

এ ছাড়াও বড় সরকারি হাসপাতালগুলির প্রতিটি এলাকা যাতে সিসিটিভি-র নজরে থাকে, তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি যে
কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সিসিটিভি দেখা হয়, তা-ও চব্বিশ ঘণ্টা নজরদারিতে রাখতে বলা হয়েছে। এ জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করে তাঁদের খাতায়-কলমে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে যে অব্যবহৃত কক্ষ পড়ে থাকে সেগুলি যাতে
অবৈধ কাজে ব্যবহার না হয়, সে ব্যাপারে আলাদা করে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।

পরিকাঠামোগত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলি ধাপে ধাপে রূপায়ণ করার পাশাপাশি প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে হাসপাতালে কর্মরত সব অস্থায়ী কর্মীর পরিচয় পুলিশের মাধ্যমে যাচাইয়ের কাজ দ্রুত সেরে ফেলতে বলা হয়েছে আজকের বৈঠকে। সূত্রের দাবি, একাধিক রাজ্য জানিয়েছে যে তারা তাদের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে কর্মীদের
পরিচয় যাচাইয়ের কাজ ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement