—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আগামী মাসে রাজ্যসভার নির্বাচনের পরেই সংসদের উচ্চকক্ষে এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছুঁয়ে ফেলবে বলে দাবি করছে বিজেপি। ৩ সেপ্টেম্বর রাজ্যসভার ১২টি আসনে নির্বাচন রয়েছে। বিজেপির দাবি, ১১টি আসনেই জিততে চলেছেন এনডিএ প্রার্থীরা। ফলে আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে ওয়াকফ বিলের মতো বিতর্কিত বিল রাজ্যসভায় পাশ করাতে সমস্যা হবে না সরকারের।
বিহারে কুশওয়াহা ভোটের কথা মাথায় রেখে শরিক দল রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার নেতা উপেন্দ্র কুশওয়াহাকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। নীতীশ কুমারের অস্বস্তি থাকলেও প্রবীণ ওই নেতাকেই টিকিট দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের মতে, এক সময়ের ঘনিষ্ঠ উপেন্দ্রের সঙ্গে এখন আর সুসম্পর্ক নেই নীতীশের। তাই বিহারের দু’টি আসনের একটিতে নিজের দলের প্রার্থী দিতে চেয়েছিলেন নীতীশ। কিন্তু এই রাজ্যে অতি পিছিয়ে থাকা শ্রেণির মধ্যে জনভিত্তি বাড়াতে উপেন্দ্রকে বেছে নেন অমিত শাহেরা। বিহারের দ্বিতীয় আসনে বিজেপির প্রার্থী দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, লোকসভায় জিতে আসায় রাজস্থানের রাজ্যসভা আসন থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কংগ্রেসের কে সি বেণুগোপাল। রেল প্রতিমন্ত্রী রবনীত বিট্টু বা স্মৃতি ইরানিকে ওই আসনে জিতিয়ে আনার কথা ভাবছে বিজেপি। সূত্রের মতে, লোকসভায় হেরে যাওয়া অর্জুন মুন্ডা, আর কে সিংহের মতো প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদেরও রাজ্যসভা থেকে জিতিয়ে আনার কথা ভাবা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ৯টি রাজ্যের ১২টি রাজ্যসভা আসনে এ বার ভোট হবে।