প্রায় তিন দশক পর নতুন হাউইৎজার কিনেছে ভারত। পরীক্ষামূলক গোলাবর্ষণের সময় তাতে বিস্ফোরণ ঘটায় স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন সেনা। —প্রতীকী ছবি।
অস্বস্তিকর দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে কয়েক দিন আগেই। বিদেশি সংস্থা বিএই সিস্টেমসের কাছ থেকে আনা হাউইৎজার কামান থেকে পরীক্ষামূলক গোলাবর্ষণ চলছিল। সে সময় কামানেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে হাউইৎজারের ব্যারেল। দুর্ঘটনার পরেই সেনা জানিয়েছিল, কামানের গোলাতে গলদ ছিল, তাই ৩৫ কোটি টাকা দামের কামান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার তৈরি গোলা ভারতীয় সেনা ব্যবহার করে, সেই সংস্থার তরফে এই দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খোলা হল বুধবার। এনডিটিভি-র সঙ্গে কথোপকথনে সংস্থার মুখপাত্র ইউ মুখোপাধ্যায় দাবি করলেন, গোলায় কোনও গলদ নেই। যে পরিস্থিতিতে কামানে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেই পরিস্থিতিতে বিস্ফোরণ ঘটা অস্বাভাবিক নয়।
আরও পড়ুন: কিমকে খতম করতে ঘাতক ব্রিগেড বানাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া!
সরকার তথা অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের অধীনেই রয়েছে দেশের অস্ত্র নির্মাণ কারখানাগুলি। ভারতীয় সেনা যত রকমের গোলা ব্যবহার করে, তার ৯০ শতাংশই এই সব কারখানায় তৈরি হয়। সংস্থার তরফে ইউ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিএই সিস্টেমসের কাছ থেকে কেনা এম-৭৭৭ হাউইৎজার থেকে ১১০০-রও বেশি গোলা সাফল্যের সঙ্গে ছোড়া হয়েছে। ১১৬৪তম রাউন্ডে গিয়ে কামানের ব্যারেলে বিস্ফোরণ ঘটে। গোলায় গলদ থাকলে ১১৬৩টি গোলা সাফল্যের সঙ্গে ছোড়া যেত না বলে তাঁর দাবি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য দরজা বন্ধ, কিন্তু নাগরিক হচ্ছেন ১ লক্ষ চাকমা-হাজং
ঠিক কী কারণে কামানের ব্যারেলে বিস্ফোরণ হল, তা বুঝতে এম-৭৭৭ হাউইৎজারের নির্মাতা সংস্থা বিএই সিস্টেমসের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অর্ডন্যান্স বোর্ডের তরফেও দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অস্ত্র নির্মাতা সংস্থার তরফে যে ব্যাখ্যা এ দিন তুলে ধরা হয়েছে, তাতে সেনা কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট নন। ১১০০-র বেশি গোলা ছোড়া হলে কামানের ব্যারেলে বিস্ফোরণ ঘটবে, এই তত্ত্ব যে খুব গ্রহণযোগ্য নয়, তা অস্ত্র নির্মাতাদের তরফেও স্বীকার করা হচ্ছে। কিন্তু এমন দুর্ঘটনা খুব অস্বাভাবিক নয় এবং এই রকম দুর্ঘটনা ঘটলেই গোলায় গলদ রয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায় না। দাবি নির্মাত সংস্থার মুখপাত্রের।