—ফাইল চিত্র।
নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে গড়ে তোলা শিবিরে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে জইশ গোষ্ঠী। এক নেটমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে মারালা নামে একটি জায়গায় এই প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলেছে জইশ জঙ্গিগোষ্ঠী। জলপথ বা সুড়ঙ্গপথ ব্যবহার করে কী ভাবে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢোকা যাবে, তার প্রশিক্ষণ নাকি চলছে ওই শিবিরগুলোতে।
পিরপঞ্জল পর্বত রেঞ্জের দক্ষিণে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে এ রকম ৬টি জঙ্গিশিবির রয়েছে। যা এখনও সক্রিয়। ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, শুধু মারালাতেই নয়, সিমানিতেও একটি জঙ্গি শিবির তৈরি করা হয়েছে। সেখানে অল বদর জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই জঙ্গিগোষ্ঠী কাশ্মীরে সক্রিয়। অল বদর-এর আরও একটি প্রশিক্ষণ শিবির চলছে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের বারনালাতে।
চন্দ্রভাগার তীরে মারালা এলাকায় জইশের যে জঙ্গি শিবিরটি রয়েছে, সেটি অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত। এই শিবিরেই অস্ত্র প্রশিক্ষণ ছাড়াও জলের নীচ দিয়ে এবং সুড়ঙ্গ খুঁড়ে কী ভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে হবে, তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে ওই সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
২০২০-র অগস্টে জম্মুর সাম্বা সেক্টরে ৩০০ মিটার একটি সুড়ঙ্গের হদিশ পেয়েছিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী(বিএসএফ)। ওই বছরেরই ২২ নভেম্বর সাম্বার রিগ্যাল সেনাচৌকির কাছে ১৫০ মিটারের একটি সুড়ঙ্গ মেলে। কাঠুয়ার হিরানগর সেক্টরেও এ রকম দুটো সুড়ঙ্গ দেখতে পান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। বিএসএফ জানায়, ভারতে ঢুকতে এই নতুন পন্থাই নিচ্ছে জঙ্গিরা। গত ৬ মাসের মধ্যে এ রকম ১১টি সুড়ঙ্গের হদিশ পেয়েছে বিএসএফ। তবে এই ধরনের অনুপ্রবেশ আটকাতে পাল্টা ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে বলে বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে।