এনকাউন্টারে মৃত্যু লস্কর জঙ্গি সাজ্জাদের। — ফাইল ছবি।
এনকাউন্টারে মৃত্যু হল কাশ্মীরে পরিযায়ী শ্রমিকদের খুনে অন্যতম মূল অভিযুক্ত জঙ্গি। তিনি ছিলেন পুলিশের হেফাজতেই। সূত্রের খবর, একটি ঘটনার জায়গায় তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সেখানেই পালানোর চেষ্টা করেন ওই জঙ্গি। তখনই গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর।
কুলগামের বাসিন্দা লস্কর জঙ্গি সাজ্জাদ তান্ত্রিকে পুলিশ ধরে ফেলেছিল। রবিবার সকালে অনন্তনাগের বিজবেহেরার চেকি ডুডু এলাকায় জঙ্গি-পুলিশ গুলির লড়াই শুরু হয়। পুলিশ জঙ্গিদের ঘিরে ফেলে। ঘটনার পুনর্নির্মাণ এবং চিহ্নিতকরণের জন্য সাজ্জাদকে হাজির করায় পুলিশ। সেই সময় আবার গুলিবৃষ্টি শুরু করে জঙ্গিরা। জঙ্গিদের ছোড়া গুলি এসে লাগে সাজ্জাদের গায়ে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সাজ্জাদ। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
কাশ্মীরে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় সরাসরি সাজ্জাদ জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। অভিযোগ, গত সপ্তাহে অনন্তনাগেই দু’জন শ্রমিককে গুলি করেন সাজ্জাদ। এ ছাড়াও একাধিক এ রকম ঘটনার সঙ্গেও প্রত্যক্ষ ভাবে সাজ্জাদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। সেই সময়ই সাজ্জাদকে ধরে ফেলে পুলিশ। রবিবার সাজ্জাদের গোষ্ঠীরই আরও কয়েক জনের গা ঢাকা দেওয়ার খবর পায় পুলিশ। সাজ্জাদকে নিয়েই অভিযান শুরু হয়। সেই সময়ই সতীর্থদের ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় সাজ্জাদের।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরে কাজ করতে যান বহু মানুষ। পেটের তাগিদে বাংলা-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে যে সমস্ত মানুষ কাশ্মীরে কাজ করতে যান, তাদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনাও ইদানীং শোনা যাচ্ছে। তাতে প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ শ্রমিকরা। এই কাজেই অন্যতম অভিযুক্ত জঙ্গির মৃত্যু হল এনকাউন্টারে।