ফাইল চিত্র
দিল্লি, মুম্বই-সহ দেশের আরও কিছু শহরে বড়সড় নাশকতার ছক কয়েছে লস্কর-ই-তইবা। গোয়েন্দাদের কাছে খবর, এই লক্ষ্যে পাকিস্তান থেকে সীমান্ত টপকে ভারতে ঢুকে পড়েছে জঙ্গিদের একটা বড় দল। তাদের মূল টার্গেট রাজধানী দিল্লি। রাজধানীর মেট্রো স্টেশন, সংসদ ভবন, বিভিন্ন সরকারি মন্ত্রক, শপিং মলে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে তারা। দিল্লির পাশাপাশি বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়েও নাশকতার ছক রয়েছে পাক মদতপুষ্ট এই জঙ্গি দলটির। শনিবার পেশ করা গোয়েন্দা রিপোর্টে এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গুজরাত, পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী বেশ কিছু স্থানকেও টার্গেটের মধ্যে রেখেছে জঙ্গি দলটি।
আরও পড়ুন: উরিতে পাক হানা রুখল ভারতীয় সেনা, নিহত ২ জঙ্গি
গোয়েন্দা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নাশকতা ঘটানোর জন্য দেশে ঢুকেছে ২০-২১ জন লস্কর জঙ্গি। দলে রয়েছে বেশ কয়েকজন আত্মঘাতী জঙ্গিও। গোয়েন্দাদের অনুমান, সীমান্ত টপকে ঢোকা জঙ্গিদের প্রত্যেকেই আধুনিক অস্ত্র চালনায় অত্যন্ত দক্ষ। তাদের কাছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র থাকতে পারে বলেও ধারণা গোয়েন্দাদের। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে হামালার ছক কষা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই সংসদে শুরু হবে বাদল অধিবেশন। তখন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী, সাংসদরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের মূল লক্ষ্য হতে পারে এই সময়টাই।
মুম্বই হামলার ধাঁচে ফের হামলা চালানো হতে পারে বলে কিছু দিন আগেই গোয়েন্দারা সতর্ক করেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। ভারতে ঢোকা এই জঙ্গি দলটার প্রশিক্ষণ হয়েছিল পাকিস্তানের মাটিতে বলেও জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা রিপোর্ট পাওয়ার পরই রাজধানী এবং বাণিজ্য নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং জনবহুল এলাকায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে মেট্রো স্টেশনগুলিতে। এ দিনের গোয়েন্দা রিপোর্টের প্রেক্ষিতে তড়িঘড়ি নিরাপত্তা আধিকারিকদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অরুণ জেটলি। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন তিন সেনাবাহিনীর প্রধান এবং নিরপত্তা বিষয়ক শীর্ষ আধিকারিকরা।