TMC

তৃণমূল আর কংগ্রেসে চাপানউতোর চলছেই

তৃণমূলের অভিযোগ, কংগ্রেস ঘোষিত ভাবে বাম এবং অঘোষিত ভাবে বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৩ ০৫:২২
Share:

সাগরদিঘি এবং মেঘালয়ে নির্বাচনের পরে অকংগ্রেসি, সমমনস্ক রাজনৈতিক দলগুলি আরও বেশি করে ঐক্যবদ্ধ হবে। প্রতীকী ছবি।

সাগরদিঘির বিধানসভা আসনে পরাজয়ের পরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস এবং বিজেপি-র মধ্যে ‘অশুভ আঁতাঁতের’ কথা বলেছেন গতকাল। সেই সঙ্গে ‘একা লড়াইয়ের’ কথাও বলতে শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে। আজ তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা করে বলা হচ্ছে, এটা স্পষ্ট যে বাংলায় আর কোনও দলের সঙ্গে তৃণমূলের সমঝোতার প্রশ্নই নেই। চব্বিশের লোকসভায় তৃণমূল শুধু একা লড়বে তাই-ই নয়। সাগরদিঘি এবং মেঘালয়ে নির্বাচনের পরে অকংগ্রেসি, সমমনস্ক রাজনৈতিক দলগুলি আরও বেশি করে ঐক্যবদ্ধ হবে।

Advertisement

তৃণমূলের অভিযোগ, কংগ্রেস ঘোষিত ভাবে বাম এবং অঘোষিত ভাবে বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে। পাশাপাশি তৃণমূলের দাবি, মেঘালয়ের ফলাফল প্রমাণ করে দিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে আঞ্চলিক দলগুলির যথেষ্ট পরিসর থাকবে। মেঘালয়ে মোট ৫৯টি আসনের মধ্যে ৫টি পেয়েছে তৃণমূল, ৫টি কংগ্রেস এবং ২টি পেয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের এক নেতার দাবি, “এর থেকেই প্রমাণিত, প্রায় ৮০শতাংশ ভোট গিয়েছে আঞ্চলিক দলের কাছে।”

কংগ্রেসও আজ সকাল থেকে তৃণমূলের প্রতি আস্থাহীনতার অভিযোগ করছে। তাদের পাল্টা বক্তব্য, যাঁরা এই ধরনের অভিযোগ আনছেন তাঁদের কী ভাবে বিশ্বাস করা যায়? বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। কাল মমতা বলেছেন, একা লড়বেন। এই বিষয়টি নিয়ে রাহুলের ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস সাংসদ মানিকম টেগোর আজ বলেন, “কেউ কেউ কখনও শিক্ষা নেয় না। উল্টে তারা নিজেদের ব্যর্থতা আর ভুলের জন্য অন্যদের দায়ী করে।”

Advertisement

রায়পুরের অধিবেশনের আগে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেছিলেন, কংগ্রেসই বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দেবে। কিন্তু রায়পুরে স্থির হয়, সমমনস্ক দলগুলিকে নিয়ে ঐক্য তৈরি করাই অগ্রাধিকার। এর পরে নিজের মন্তব্যের থেকে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে স্ট্যালিনের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে খড়্গেকে বলতে শোনা যায়, ‘কে নেতৃত্ব দেবে, সে সব পরে স্থির হবে। আসুন, আগে সবাই একসঙ্গে বিজেপি-বিরোধী জোট তৈরি করা হোক।’

আজ কংগ্রেসের সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন উঠেছিল, ‘বিরোধী দলের পক্ষ থেকে আপনাদের দোষ দেওয়া হচ্ছে। মমতা বলেছেন, একা চলবেন।’ কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, “আমাদের ঘোষিত অবস্থানই হল, সমমতাদর্শ সংবলিত দলের জন্য দরজা-জানলা সব খোলা আছে। আমরা এ ক্ষেত্রে সমমতাদর্শের উপরে জোর দিচ্ছি। এই শব্দের মধ্যেই সব উত্তর নিহিত রয়েছে।”

তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “কংগ্রেস অবশেষে নিজেই মেনে নিয়েছে যে তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রশ্ন উঠছে না। তামিলনাড়ুতে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজন স্ট্যালিনকে, ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনকে, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তেলঙ্গনায় কে চন্দ্রশেখর রাওকে। এই বার্তাটাই গিয়েছে। এই তত্ত্বটাই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘ দিন ধরে বলে আসছেন। যেখানে যে আঞ্চলিক দল শক্তিশালী, তার পাশে বিরোধীরা থেকে লড়াই করুন। এখানে সবাই দাদা। যদি কংগ্রেস বড়দার মতো আচরণ করে, তবে তার পরিণাম কী হয় সবাই দেখেছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement