Hyderabad Murder

পুলিশে ফোন করেননি কেন? চিকিৎসক খুনে বিতর্কিত মন্তব্য মন্ত্রীর, নিন্দার ঝড়

বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের অনতিদূরে শাদনগরে তরুণী চিকিৎসকের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:৫৩
Share:

মহম্মদ মাহমুদ আলি। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।

হায়দরাবাদে তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় এ বার বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন তেলঙ্গানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, ঘটনার সময় তরুণী কেন অপৎকালীন নম্বরে ফোন করেননি। মন্ত্রী ওই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করা তো দূর, বরং মর্মান্তিক পরিণতির জন্য ওই তরুণীকেই দায়ী করায় বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের অনতিদূরে শাদনগরে তরুণী চিকিৎসকের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। পুলিশের অনুমান, ধর্ষণ করে ওই তরুণীকে খুন করা হয় প্রথমে। তার পর তাঁর দেহ পোড়ানো হয়।

এই ঘটনায় দেশ জুড়ে যখন নিন্দার ঝড় বইছে, ঠিক সেইসময় শুক্রবার অসংবেদনশীল মন্তব্য করে বসেন তেলেঙ্গানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ মাহমুদ আলি। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, এক জন শিক্ষিত তরুণী হয়েও আপদকালীন নম্বর ১০০-য় ফোন করার বদলে নিজের বোনকে ফোন করেন উনি। ১০০-য় ফোন করলে হয়ত বাঁচানো যেত ওঁকে। বিপদে পড়লে ১০০-তেই ফোন করে সাহায্য চাওয়া উচিত। সকলের এটা জানা দরকার।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: হায়দরাবাদে তরুণী চিকিৎসককে পোড়ানোর আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল?​

তেলঙ্গানা পুলিশ যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। খুব শীঘ্র অপরাধীদের শনাক্ত করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু নির্যাতিতাকে নিয়ে মাহমুদ আলির মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে নেটিজেনদের কেউ কেউ লেখেন, ‘কোথায় নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করবেন, তা নয় নির্যাতিতার ঘাড়েই দোষ চাপাচ্ছেন মাহমুদ আলি। এই জঘন্য আচরণের জন্য লজ্জা হওয়া উচিত ওঁর।’ তেলঙ্গনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য অত্যন্ত লজ্জাজনক বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ।

আরও পড়ুন: শহরে ফের গণধর্ষণ! কালীঘাট মন্দির চত্বর থেকে দুই কিশোরীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ​

এ দিন হায়দরাবাদের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীও। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘হায়দরাবাদের নৃশংস ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় আমি স্তম্ভিত। মানুষ হয়ে আর একজন মানুষের প্রতি কেউ এত নৃশংস হয় কীভাবে? এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এই দুঃসময়ে নির্যাতিতার পরিবারকে সমবেদনা জানাই।’

হায়দরাবাদের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই দুই ট্রাক চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অপরাধীদের কাউকে রেয়াত করা হবে না বলে জানিয়েছেন তেলঙ্গানার ডিজিপি মহেন্দ্র রেড্ডি। ফাস্টট্র্যাক কোর্টে তাদের বিচার হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement