Delhi High Court

Delhi High Court: ‘বাবা-মায়ের আপত্তি সত্ত্বেও মুসলমান আইন মেনে বয়ঃসন্ধিতে নাবালিকার বিয়ে গ্রাহ্য’

বিচারপতি জসমীত সিংহের পর্যবেক্ষণ, কোনও কিশোরী বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছলে বাবা-মায়ের আপত্তি সত্ত্বেও মুসলিম আইন মেনে বিয়ে করতে পারবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২২ ০৭:১৩
Share:

দিল্লি হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।

বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছনোর পরে কোনও কিশোরী তাঁর বাবা-মায়ের অমতে মুসলিম আইন মেনে যদি বিয়ে করে তা গ্রাহ্য হবে। এক মামলার রায়ে এমনটাই জানাল দিল্লি হাই কোর্ট।

Advertisement

এক দম্পতি তাদের সুরক্ষার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। স্ত্রীর বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। এই মামলায় বিচারপতি জসমীত সিংহের পর্যবেক্ষণ, কোনও কিশোরী বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছলে বাবা-মায়ের আপত্তি সত্ত্বেও মুসলিম আইন মেনে বিয়ে করতে পারবে। নাবালিকা হলেও স্বামীর সঙ্গে থাকতে পারবে সে। এ ক্ষেত্রে তার স্বামীর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা গ্রাহ্য হবে না।আদালত জানিয়েছে, ওই কিশোরী যদি নিজের পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করে খুশি থাকে, সে ক্ষেত্রে তার ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না রাষ্ট্রও। গত ১১ মার্চ বিয়ে হয়েছিল ওই যুগলের। সেই সময়ে কিশোরীর বয়স ১৫ এবং তার স্বামীর ২৫ বছর। অবশ্য বিয়ের আগেই সম্পর্কের আঁচ পেয়ে ৫ মার্চ কিশোরীর অভিভাবকেরা দ্বারকা জেলায় মেয়ের তৎকালীন প্রেমিকের (বর্তমানে স্বামী) বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার বিষয়টি উল্লেখ করে পকসো আইনে অভিযোগ করে। অপহরণের অভিযোগও তোলা হয়।

এর পরেই এপ্রিল মাসে পুলিশি নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই দম্পতি। সঙ্গে আবেদন, তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে যেন কেউ হস্তক্ষেপ না করেন। শুনানিতে দম্পতির আইনজীবী জানিয়েছেন, ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। নিজের ইচ্ছায় পছন্দের মানুষের সঙ্গে সে বাড়ি ছেড়েছে। ওই কিশোরীও জানিয়েছে, বাড়িতে বাবা-মা প্রায়ই তাকে মারধর করত। তার অন্যত্র বিয়ের বন্দোবস্তও করা হচ্ছিল। গত ২৭ এপ্রিল স্বামীর কাছ থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে শিশু কল্যাণ কমিটির কাছে উপস্থিত করা হয়। কমিটি ওই কিশোরীকে হরি নগরে নির্মল ছায়া কমপ্লেক্সে রাখার নির্দেশ দেয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement