প্রতীকী ছবি
বেঙ্গালুরুর সেন্ট মার্কস রোড। শহরের অভিজাত এলাকার এই রাস্তাতেই সম্পন্ন লোকেদের ধনী ক্লাব বোরিং ইনস্টিটিউট।
প্রায় দেড়শো বছর পুরনো এই ক্লাবের বন্ধ হয়ে থাকা লকারগুলি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিব্রত ছিলেন কর্মকর্তারা। বারবার নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও কোনও সদস্যই লকার সাফ করতে রাজি হচ্ছিলেন না। ই-মেল পাঠানো, মোবাইলে এস এম এস, ক্লাব চত্বরে নোটিস সাঁটানো,বাকি ছিল না কিছুই। শুক্রবার বাধ্য হয়েই ক্লাবের লকার ভাঙতে শুরু করেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তারপরই চক্ষু চড়কগাছ। মেলে গুপ্তধনের হদিশ।
ক্লাবের ব্যাডমিন্টন কোর্টের তিনটি লকার ভেঙে বেরিয়েছে ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তির দলিল, আট কোটি টাকার সোনা ও হিরে, চার কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা ও দু কোটি ভারতীয় টাকা। সব মিলিয়ে ৫৫০ কোটি।
কিন্তু কে ক্লাবের লকারে লুকিয়ে রেখেছিলেন এই গুপ্তধন? ৬৯, ৭১ আর ৭৮। এই তিনটি লকার কারও নামেই নথিবদ্ধ ছিল না। পরে অবশ্য এই গুপ্তধনের মালিক নিজেই এসে ক্লাবে যোগাযোগ করেন। তিনি শহরেরই রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী অবিনাশ অমরলাল কুকরেজা। যদিও তিনি নিয়মিত ক্লাবে আসেন না। তাঁর মা অবশ্য ক্লাবে নিয়মিত এসে তাস খেলেন।
সমস্ত সম্পত্তিই বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর বিভাগ। পাশাপাশি, কোথা থেকে পেলেন এই সম্পত্তি, তা নিয়ে চলছে জেরাও। আর এখন থেকে ক্লাব চত্বরে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ ক্লাবে বেনামি সোনাদানা বা টাকাপয়সা জমা না করতে পারেন।
আরও পড়ুন: মৃতকে যাবজ্জীবন, এক বছর পর ভুল শোধরাল সুপ্রিম কোর্ট