ছাত্রদের নির্মমভাবে মারছেন সেই শিক্ষক। ছবি ইউটিউব ভিডিয়োর দৃশ্য।
কেউ ষষ্ঠ, কেউ সপ্তম বা কেউ অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। গত মঙ্গলবার ক্লাসে ঢুকতে নির্ধারিত সময়ের দশ মিনিট দেরি হয়েছিল। সেটাই ছিল তাদের একমাত্র ‘অপরাধ’। সেই অপরাধের শাস্তি হিসাবে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির প্রায় ২০ জনেরও বেশি ছাত্রকে নির্মমভাবে পিটিয়েছেন সরকারি স্কুলের এক শিক্ষক। ছাত্রদের নির্মমভাবে পেটানোর সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ভাইরাল হয়েছে। তার পরই এই শিক্ষকের শাস্তির দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
ছাত্রদের নির্মমভাবে পেটানোর এই ঘটনাটি গত মঙ্গলবার ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলার ছেলেদের একটি হস্টেলে। উপজাতি গুজ্জর ও বাকেরয়াল চিলড্রেন হস্টেলের মার খাওয়া ওই ছাত্ররা জানিয়েছেন, প্রায় ২৫ জন ছাত্রকে দশ মিনিট ধরে লাঠি দিয়ে টানা মেরেছেন ওই শিক্ষক। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মহম্মদ ইয়াসিন।
ছাত্রদের পেটানোর সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। ওই শিক্ষককে সাসপেন্ড করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ডোডার জেলার ডিসি সাগর ডি দইফোড় বলেছেন, ‘‘এই ঘটনার তদন্ত কমিটির শীর্ষে রয়েছেন এলাকার তহসিলদার। তদন্তের রিপোর্ট এলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে পুলিশ।’’
আরও পড়ুন: আগামী বছরেই জল-হারা ৪ শহর
এই ঘটনার পর ঘটনাস্থলে এসেছিলেন সেখানকার শিশুকল্যাণ দফতরের কো-অর্ডিনেটর মীনাক্ষি রাইনা। তিনি ঘটনার বিররণ শুনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। তদন্তের সময় অভিযুক্ত শিক্ষক মারধরের কথা স্বীকার করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টেও আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাইক থামিয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে রাস্তায়, তারপর...