প্রতীকী ছবি।
বয়স কম দেখানোর নামী কোম্পানির ক্রিম, লোশন বেশ দামি। চায়ের পাতা আর জলেই এর সস্তা সমাধান বার করে ফেলেছে গুয়াহাটি আইআইটি! আইআইটির তরফে জানানো হয়েছে, লেবু জাতীয়, জাম জাতীয় ফল, চা, পেঁয়াজ, ডাল থেকেই ‘সাইকো অ্যাকটিভ’ ওষুধ ও বয়সের ছাপ কমানোর যৌগ বার করেছেন আইআইটির এক অধ্যাপক ও তাঁর ছাত্র। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক তথা পরিবেশ কেন্দ্রের প্রধান মিহিরকুমার পুরকাইত ও এমটেক-এর ছাত্র ভি এল ধাডগে জানান, বিশেষ পদ্ধতিতে ওই সব কৃষিজ দ্রব্য থেকে তাঁরা ক্যাফিন ও ফ্ল্যাভোনয়েড বার করেছেন।
পুরকাইত জানান, বাণিজ্যিক ভাবে ক্লোরোফর্ম, অ্যাকিটন ও অন্যান্য রাসায়নিক ব্যবহার করে মূল্যবান পদ্ধতিতে এই সব অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট তৈরি করা হয় বলে দাম অনেকটা বাড়ে। কিন্তু আইআইটিতে মেমব্রেন পদ্ধতিতে শুধু জলেই সেটা সম্ভব হয়েছে। লাগে না ফার্মাসিউটিক্যাল স্টিমুলান্ট ও অন্যান্য রাসায়নিক। তাই দামও কম পড়বে। পুরকাইত জানাচ্ছেন, বিশ্বে খুব কম উৎপাদকই দ্রবক ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৮০ শতাংশ খাঁটি মূল্যবান ফ্লাভোনয়েড তৈরি করে। বাণিজ্য মন্ত্রকের হিসেবে, ২০২২-এর মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ফ্লাভোনয়েডের বাজার ৪১২.৪ টনে পৌঁছাবে। আইআইটির গবেষকদের দাবি, নতুন মেমব্রেন প্রযুক্তি ভারতের ফ্লাভোনয়েড আমদানি অনেকাংশে কমাবে, কারণ তাঁদের তৈরি ফ্লাভোনয়েডের মূল কাঁচামাল হল চা এবং ভারত বিশ্বে চায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক।