নির্বাচন চলাকালীন সাংবাদিক সম্মেলন করে আচরণবিধি ভাঙায় এফআইআর দায়ের করা হল অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের বিরুদ্ধে।
আজ দিল্লিতে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সন্দীপ সাক্সেনা জানান, ‘‘নির্বাচন শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৬ ধারা ভেঙেছেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। সংশ্লিষ্ট জেলাশাসককে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।’’ সাক্সেনা জানান, জেলাশাসক কমিশনকে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে কারাবাস বা আর্থিক জরিমানা, কিংবা দু’রকম শাস্তিই হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের এই অভিযোগের জেরে কমিশনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ আখ্যা দিয়েছেন গগৈ। আজ সকালে কমিশনের প্রতিনিধি এসে তাঁর সাংবাদিক সম্মেলন থামিয়ে দিয়েছিলেন। গগৈয়ের দাবি, ‘‘আমি কোনও বেআইনি কাজ করিনি। তেমন হলে জেলে যেতেও রাজি। নির্বাচন কমিশন একশো শতাংশ পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা নিয়েছে।’’
বিজেপি জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী সর্বানন্দ সোনোয়াল ভোট চলার মধ্যেই গগৈয়ের সাংবাদিক সম্মেলন করার সমালোচনা করে বলেন, ‘‘জেনেশুনেও এ কাজ করে গগৈ অন্যায় করেছেন। তিনি নিজের পদের মর্যাদা রাখতে পারেননি।’’ সর্বানন্দের অভিযোগ, তাঁর দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে কংগ্রেসিরা। চলেছে রিগিং। পরাজয় নিশ্চিত জেনে এ সবই কংগ্রেসের হতাশার বহিঃপ্রকাশ। বিজেপির জয় নিয়ে নিশ্চিত সর্বানন্দ।
প্রথম দফায় ৮২.২০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। দ্বিতীয় তথা শেষ দফায় নজির গড়ে ভোটদানের হার ছুঁতে চলেছে ৮৫ শতাংশ। ভোটের হারে পরিবর্তনের আশায় বুক বাঁধছে বিজেপি। অন্য দিকে, কংগ্রেসের দাবি ক্ষমতা থাকবে তাদের হাতেই। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ ভোটের পরে বলেন, ‘‘এত বেশি হারে ভোটদান গণতন্ত্রেরই জয়।’’ তাঁর বক্তব্য, অসমের শান্ত পরিস্থিতির জন্যই মানুষ নির্ভয়ে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন। গত ১৫ বছরে মানুষের সামাজিক ও রাজনৈতিক সচেতনতা বেড়েছে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত গগৈ মানুষের থেকেও বেশি ভরসা করছেন মা কামাখ্যার উপরেই। সকালে কামাখ্যায় পুজো দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মা সকলকেই আশীর্বাদ দেন। যাঁকে পছন্দ তাঁকেই জেতাবেন তিনি।’’