—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
প্রাতর্ভ্রমণ থেকে সরকারি বাসভবনের ক্যাম্প অফিসে ফিরে হাতে তুলে নিয়েছিলেন নিজের সার্ভিস রিভলভার। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে গুলির আওয়াজ শুনে ছুটে আসেন তাঁর সহকর্মীরা। শুক্রবার সাতসকালে নিজের বাড়ির ক্যাম্প অফিসে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তামিলনাড়ুর ডিআইজি (কোয়েম্বত্তূর রেঞ্জ) সি বিজয়কুমারের দেহ। অভিযোগ, সার্ভিস রিভলভারের গুলি চালিয়ে নিজেকে শেষ করেছেন তিনি। মানসিক অবসাদের জেরেই তিনি ‘আত্মঘাতী’ হয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে তামিলনাড়ু পুলিশ।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন ৪৫ বছরের বিজয়কুমার। সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ নিজের বাড়ির ক্যাম্প অফিসে ফিরে আসেন তিনি। এর পর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীকে ডেকে তাঁর সার্ভিস রিভলভারটি চেয়ে নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে যান। ক্যাম্প অফিসে বিজয়কুমারের সহকর্মীদের দাবি, মিনিট পাঁচেক পর ওই সার্ভিস রিভলভার দিয়ে আত্মঘাতী হন এই পুলিশকর্তা।
পুলিশ সূত্রে দাবি, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মানসিক অবসাদের পাশাপাশি অনিদ্রাজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বিজয়কুমার। যদিও তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
২০০৯ সালের আইপিএস ব্যাচের সদস্য বিজয়কুমারকে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি ডিআইজি-র দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছিল। এর আগে কাঞ্চীপুরম, কুড্ডালোর, নাগাপট্টিনম এবং তিরুবারুরের পুলিশ সুপার হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। চেন্নাইয়ের আন্নানগরের ডেপুটি কমিশনার পদে ছিলেন বিজয়কুমার।