হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুল্যান্সে বসেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন সেন্থিল বালাজি। ছবি: সংগৃহীত।
শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া তামিলনাড়ুর বিদ্যুৎমন্ত্রী ভি সেন্থিল বালাজিকে। বুধবার সকালে অ্যাম্বুল্যান্সে বসেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেল ডিএমকে নেতাকে।
মঙ্গলবার সারা দিন ইডি বালাজির দফতর ও কারুরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। টানা জি়জ্ঞাসাবাদের পর বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর। গ্রেফতারির পর নিয়মমাফিক সেন্থিলকে আনা হয়েছিল চেন্নাইয়ের ওমানদুরার সরকারি হাসপাতালে। একটি অ্যাম্বুল্যান্সে বসানো হয়েছিল বালাজিকে। গাড়ি হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ করতেই ঘিরে ধরেন ডিএমকে সমর্থকেরা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে চলতে থাকে স্লোগান। এমন সময় অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় বালাজিকে। ইডি সূত্রে খবর, বুধবারই বালাজিকে একটি বিশেষ আদালতে তোলা হবে। আদালতে ইডি মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট টাকার বিনিময়ে চাকরির একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ এবং ইডিকে তদন্তে অনুমতি দেয়। তার পর মঙ্গলবার সারা দিন ধরে ইডি তামিলনাড়ুর সচিবালয়, বালাজির দফতর এবং কারুরে তাঁর বাসভবনে তল্লাশি চালায়। প্রসঙ্গত, এমডিএমকে জমানায় পরিবহণমন্ত্রী ছিলেন বালাজি। টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বালাজির ঠিকানায় আয়কর দফতরের আধিকারিকরা হানা দেন। তার পরেই মঙ্গলবার তাঁর দুয়ারে পৌঁছে গেল ইডিও।
মঙ্গলবার ইডি যখন তাঁকে প্রশ্ন করছে, তখনই শারীরিক অসুস্থতার কথা জানান তিনি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পর ডিএমকে নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী পিকে শেখর বাবু দাবি করেন, তিনি বালাজির উপর ‘অত্যাচারের চিহ্ন’ দেখতে পেয়েছেন। টিভিতে যে ছবি দেখানো হয়েছে সেখানেও বালাজিকে খুব একটা সুস্থ দেখতে লাগেনি অনেকেরই। শেখর বলেন, ‘‘ওঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। প্রায় অজ্ঞান অবস্থায় আনা হয়েছিল, এমনকি ওঁর নাম ধরে ডাকা হলেও সাড়া মিলছিল না। আপাতত পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকেরা। ওঁর কানে কোনও সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ওঁর ইসিজি রিপোর্টও ভাল নয়। এগুলিই তো অত্যাচারের চিহ্ন!’’ হাসপাতালে বালাজিকে দেখতে যান তামিলনাড়ুর আইনমন্ত্রী এস রঘুপতি, ক্রীড়ামন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিনরাও।