Tamil Nadu Temple Gold

মন্দিরের হাজার কেজি সোনা গলিয়ে ফেলল তামিলনাড়ু সরকার, সুদেই আয় ১৮ কোটি!

তামিলনাড়ুর বিভিন্ন মন্দিরে ভক্তদের দানের যে সমস্ত সোনা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে, তা গলিয়ে সোনার বাটে পরিণত করেছে সরকার। সেগুলি ব্যাঙ্কে রেখে সুদ বাবদ আয় হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৪১
Share:
Tamil Nadu Government has melted temple gold and earned 18 crores interest

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মোট ২১টি মন্দিরের অব্যবহৃত সোনা গলিয়ে ফেলল তামিলনাড়ু সরকার। হাজার কেজির বেশি ওজনের সোনা গলানো হয়েছে। ওই সোনা পরিণত করা হয়েছে ২৪ ক্যারাটের সোনার বাটে। সেগুলি ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রেখে বছরে ১৮ কোটি টাকা রোজগার হচ্ছে রাজ্য সরকারের। শুধু সুদ বাবদই এই টাকা মিলছে। তামিলনাড়ু বিধানসভায় বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছেন রাজ্যের হিন্দু ধর্মীয় সম্পত্তি বিষয়ক মন্ত্রী পিকে সেকর বসু।

Advertisement

বিধানসভায় মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের ২১টি মন্দিরে ভক্তদের দানের যে সমস্ত সোনা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল, তা প্রথমে আলাদা করা হয়েছে। ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই অব্যবহৃত মোট সোনার পরিমাণ ১০৭৪ কেজির কিছু বেশি। তার মধ্যে তিরুচিরাপল্লীর অরুলমিগু মারিয়াম্মান মন্দির থেকেই এসেছে ৪২৪.২৬ কেজি সোনা। মুম্বইয়ের সরকারি টাঁকশালে এই সোনা গলানো হয়েছে। তা থেকে তৈরি করা হয়েছে সোনার বাট। ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট বিমা প্রকল্পে ওই সোনার বাট জমা রাখা হয়েছে। বছরে ১৭.৮১ কোটি সুদ পাওয়া যাচ্ছে তা থেকে।

তামিলনাড়ু সরকার জানিয়েছে, মন্দিরের সোনা থেকে পাওয়া সুদের অর্থ মন্দিরের উন্নয়নের জন্যই ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্যের সমস্ত মন্দিরের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিভিন্ন পুজোপার্বণে ওই টাকা খরচ হচ্ছে। গোটা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তিনটি আঞ্চলিক কমিটি গঠন করেছে সরকার। প্রতিটি কমিটির মাথায় আছেন এক জন করে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। সোনা বিনিয়োগের প্রকল্পের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে আছেন তাঁরা।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মন্দিরের সোনা বিনিয়োগের এই প্রকল্প মাঝে থমকে গিয়েছিল। সরকারের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পর ২০২১-২২ সাল থেকে আবার তা চালু হয়েছে। তবে শুধু সোনা নয়, পরবর্তীকালে তামিলনাড়ু সরকার মন্দিরের রুপো বিনিয়োগের কথাও ভাবছে। অব্যবহৃত বা ব্যবহার-অযোগ্য রুপো, যা বিভিন্ন সময়ে ভক্তেরা দান করেছেন, সেগুলি গলিয়ে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখা হবে। সেখান থেকেও আয়ের ভাবনা রয়েছে সরকারের। সূত্রের খবর, বেসরকারি সংস্থাকে রুপো গলানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে। মন্দির চত্বরে জ়োনাল কমিটির তত্ত্বাবধানে প্রকাশ্যেই সেই রুপো গলানো হবে। ইতিমধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement