তামিলনাড়ু সরকারি পরিবহণ সংস্থার বাস। ফাইল ছবি।
বাসের স্টিয়ারিং ধরতেই বুঝতে পেরেছিলেন কিছু একটা গোলমাল চলছে শরীরে। কিন্তু সময় মতো যে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে হবে। তামিলনাড়ু সরকারি পরিবহণ সংস্থার বাসচালক বছর ৪৪-এর এম আরুমুগমের মৃত্যু হল। কিন্তু বাঁচিয়ে দিয়ে গেলেন ৩০ যাত্রীর প্রাণ।
অন্যান্য দিনের মতোই বৃহস্পতিবার সাত সকালে সরকারি বাসের চালক আরুমুগম পৌঁছে গিয়েছিলেন আরাপ্পালায়ম বাস ডিপোয়। সকাল ৬টা ২০ মিনিটে যাত্রী বোঝাই বাস নিয়ে তাঁর যাত্রা কোদাইকানালের দিকে। বাসে ছিলেন ৩০ জন যাত্রী।
৬টা ২৫ নাগাদ আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন আরুমুগম। এ দিকে বাস চলছে ঝড়ের গতিতে। বিপদ বুঝে গুরু থিয়েটার এলাকায় রাস্তার পাশে বাস দাঁড় করিয়ে দেন আরুমুগম। তার পরই স্টিয়ারিং-এর উপর লুটিয়ে পড়েন। কন্ডাক্টর ছুটে আসেন। বুঝতে পারেন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন আরুমুগম। অ্যাম্বুল্যান্স ডাকেন। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। স্টিয়ারিং-এর উপরই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন আরুমুগম। কিন্তু যাওয়ার আগে বাঁচিয়ে দিয়ে গেলেন ৩০ যাত্রীর প্রাণ।
এর আগে এমন ঘটনার কথা শোনা গিয়েছে, যেখানে বাস চালক হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ায় দুর্ঘটনায় পড়েছেন বাসযাত্রীরা। মৃত্যুও ঘটেছে অনেকের। কিন্তু আরুমুগমের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে এ যাত্রায় রক্ষা পেলেন ৩০ জন বাসযাত্রী।
তামিলনাড়ু সরকারি পরিবহণ সংস্থার মাদুরাই শাখার কমার্শিয়াল ম্যানেজার যুবরাজ বলেন, ‘‘আরুমুগম তামিলনাড়ু সরকারি পরিবহণের হয়ে ১২ বছর ধরে বাস চালাতেন। তিনি দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়ে আজ ৩০ জন যাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে দিয়ে গেলেন। কিন্তু আরুমুগমকে বাঁচানো গেল না। আরুমুগমকে চিরকাল মনে রাখবেন তামিলনাড়ুর মানুষ। ওঁর দুই মেয়ের জন্য সমবেদনা।’’