Story of A Beggar From Tamil Nadu

ভিক্ষা করে ৫০ লক্ষ টাকা রোজগার! পুরো টাকাই মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করলেন ভিখারি

দুই পুত্র তাঁর দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করায় তামিলনাড়ুতে এসে ভিক্ষা শুরু করেন পুলপান্দিয়ান। সমাজসেবার জন্য ২০২০ সালে মাদুরাই জেলা প্রসাশনের তরফে তাঁকে পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৪২
Share:

অতিমারি চলাকালীন ২০২০ সালের মে মাসে প্রথম তিনি ত্রাণ তহবিলে টাকা দান করেন। ছবি: সংগৃহীত

স্ত্রী মারা গিয়েছেন ২৪ বছর আগে। দুই পুত্রের কেউই খেয়াল রাখেন না। তাই ভিক্ষা করেই দিন কাটান তামিলনাড়ুর বাসিন্দা পুলপান্দিয়ান। কিন্তু ৭২ বছর বয়সি পুলপান্দিয়ান ভিক্ষার টাকা নিজের জন্য খরচ না করে সমস্ত দান করলেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। ৫ বছর ধরে ভিক্ষা করে ৫০ লক্ষ টাকা জমিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জেলা ঘুরে ঘুরে তিনি সরকারি দফতরে গিয়ে টাকা দান করেছেন।

Advertisement

সিএনএন নিউজ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমার সংসারে কেউ নেই। এত টাকা নিয়ে আমি কী করব? স্ত্রী বহু দিন আগে মারা গিয়েছেন। ছেলেদেরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ওদের এখন আলাদা সংসার। আমার দেখাশোনা করে না ছেলেরা। তাই একা একা ঘুরে বেড়াই, ভিক্ষা করে নিজের খরচ চালাই।’’ পুলপান্দিয়ান জানান, কোভিড অতিমারি চলাকালীন ২০২০ সালের মে মাসে প্রথম তিনি ত্রাণ তহবিলে টাকা দান করেন। প্রথম বার ১০ হাজার টাকা দান করেছিলেন তিনি। তার পর তিনি তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জেলার ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরেটের দফতরে গিয়ে টাকা দান করে এসেছেন।

৭২ বছর বয়সি বৃদ্ধ জানান, ৫ বছর ধরে তিনি প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা জমিয়েছিলেন। নিজের একার সংসারে কোনও খরচ হয় না বলে তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, সম্পূর্ণ টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করে দেবেন। শুধুমাত্র ত্রাণ তহবিলেই নয়, শ্রীলঙ্কার তামিলদের সাহায্য করতে এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্যও টাকা দিয়েছেন তিনি। ১৯৮০ সালে তামিলনাড়ু থেকে স্ত্রী এবং দুই পুত্র-সহ মুম্বইয়ে চলে যান পুলপান্দিয়ান। সেখানে ছোটখাট চাকরিও করতেন তিনি। রোজগার করে দুই পুত্রের বিয়ে দেন।

Advertisement

২৪ বছর আগে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর পুত্রদের কাছেই গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুই পুত্র তাঁর দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করায় তামিলনাড়ুতে এসে ভিক্ষা শুরু করেন পুলপান্দিয়ান। সমাজসেবার জন্য ২০২০ সালে মাদুরাই জেলা প্রসাশনের তরফে তাঁকে পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement