ক্ষমতায় ফিরে ফের লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হলেন সুশীল মোদী। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রীর দাবি, সম্প্রতি রাবড়ীদেবীর তিনটি ফ্ল্যাট হাত বদল হয়েছে। বেনামি সম্পত্তির প্রেক্ষিতে আয়কর ও ইডির অভিযানের পরে লালুপ্রসাদ ফ্ল্যাটগুলি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন বলে মোদীর দাবি। তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির কাছে দাবি জানাবেন বলেও তিনি জানান।
সুশীলের অভিযোগ, দানাপুরের বাসিন্দা, ব্রডসন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর সুভাষপ্রসাদ যাদব ১৩ জুন পটনার ‘মা মছরিয়াদেবী কমপ্লেক্স’-এ রাবড়ীদেবীর নামে থাকা ১২৭১ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট ৫২ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকায় কিনেছেন। সুভাষপ্রসাদ বংশীধর কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেডেরও ডিরেক্টর। ওই কোম্পানির নামে ৬ জুন তিনি রাবড়ীদেবীর থেকে ওই আবাসন কমপ্লেক্সে ১৪০০ বর্গফুটের আরও একটি ফ্ল্যাট ৫৮ লক্ষ টাকায় কিনেছেন। সুভাষপ্রসাদের স্ত্রী ললিতা যাদব রাধারমণ কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর। সেই কোম্পানিও ৬২ লক্ষ টাকায় রাবড়ীদেবীর কাছ থেকে ওই আবাসনে আর একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। লালুর মায়ের নাম মছরিয়াদেবী। তাঁর নামেই ওই কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে বলে দাবি। ওই কমপ্লেক্সে রাবড়িদেবীর ১৮টি ফ্ল্যাট রয়েছে বলে অভিযোগ। বালির ব্যবসায়ী সুভাষপ্রসাদ যাদব এক কোটি ৭২ লক্ষ টাকায় ওই আবাসনে তিনটি ফ্ল্যাট কী ভাবে কিনলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।