এ বার সুশীল মোদীর ‘মিসাইল’ লালু-তনয়া মিসার বিরুদ্ধে। আজ এখানে এক সাংবাদিক বৈঠকে মিসার বিরুদ্ধে অর্থ নয়ছয় করে সম্পদ সংগ্রহের অভিযোগ এনেছেন। তাঁর অভিযোগ, এই অবৈধ অর্থে মিসা দিল্লির ব্রিজবাসন এলাকায় একটি ফার্ম হাউস কিনেছেন।
সুশীলবাবু এ সম্পর্কিত নথিপত্র থেকে জানিয়েছেন, ২০০২ সালে এক লক্ষ টাকার পুঁজি সম্বল করে মিশা ‘মিসাইল প্যাকার্স অ্যান্ড প্রিন্টার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি তৈরি করেন। সেই কোম্পানির ঠিকানা ছিল ২৫ নম্বর তুঘলক রোড। তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লালুপ্রসাদের সরকারি বাংলো। ২০০৮ সালে এই কোম্পানির সমস্ত শেয়ার জনৈক বীরেন্দ্র জৈনের শালিনী হোল্ডিংসকে বিক্রি করা হয়। ১০টাকার এক একটি শেয়ার শালিনী কেনে একশো টাকা করে দাম দিয়ে। মিসা এই শেয়ার বিক্রি করে পায় ১.২০ কোটি টাকা। এর ১১ মাস পরে ওই শেয়ারগুলি মিসা আবার জৈনদের কাছ থেকে ১০ টাকা দরে কিনে নেয়। ইতিমধ্যে মিসা ব্রিজবাসন এলাকায় ১.৪১ কোটি টাকা দিয়ে একটি ফার্ম হাউস কেনে।
সুশীলবাবু জানান, লালু-ঘনিষ্ঠ বীরেন্দ্র জৈন ও তার ভাই সুরেন্দ্রকে ৮ হাজার কোটি টাকা নয়ছয়ের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগে এই বছরের মার্চ মাসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতার করে। তাঁর অভিযোগ, মিসার ওই সাজানো ব্যবসায়িক লেনদেনের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ কালো টাকাকে সাদা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই সম্পত্তির কথা মিসা তাঁর নির্বাচনী ঘোষণাপত্রে উল্লেখও করেননি। ফার্ম হাউসের বর্তমান মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা বলেও তাঁর দাবি।
তাঁর দাবি, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার যাদব পরিবারের এই বিপুল অবৈধ সম্পদের বিষয়টি তদন্ত করে দেখুক। তবে আরজেডি মুখপাত্র মনোজ ঝা যথারীতি এই অভিযোগকেও নস্যাৎ করতে পারেননি। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘‘সুশীলবাবুর কাজ নেই। তাই এ সব করছেন। সব সম্পত্তিরই হিসেব রয়েছে।’’