সাম্প্রতিককালে দিল্লিতে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
একে কোভিডের সংক্রমণ, তার উপর ভাইরাল জ্বরের হানা! মাসখানেকের মধ্যেই এই জোড়া আক্রমণে কাবু রাজধানী। একটি সমীক্ষায় এমনই দাবি করা হয়েছে। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, দিল্লি এবং তার আশপাশের এলাকায় প্রতি ১০ পরিবারের মধ্যে আট পরিবারেই হয় কোভিড, না-হয় ভাইরাল জ্বরের উপসর্গযুক্তদের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সব মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর বর্ষার মরসুমে ৮২ শতাংশ ঘরে হানা দিয়েছে কোভিড বা ভাইরাল জ্বরের ভাইরাস।
‘লোকালসার্কলস’ নামে একটি অনলাইন সংস্থার সমীক্ষায় দাবি, গত বছর বর্ষার মরসুমে ৪১ শতাংশ পরিবারের কোনও না কোনও সদস্য কোভিড অথবা ভাইরাল জ্বরে কাবু ছিলেন। তবে চলতি বছরের জুলাই-অগস্টে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ শতাংশে।
সমীক্ষায় আরও দাবি, দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রাম গাজিয়াবাদের মতো এলাকার বহু বাসিন্দার মধ্যে জ্বর, সর্দি-কাশি এবং ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে। ঘরেই কোভিড পরীক্ষার প্রবণতা থাকায় এবং তার যথাযথ চিকিৎসা না হওয়ায় তা পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যেই ছড়াচ্ছে বলে দাবি সমীক্ষায়। ওইসব এলাকার মোট ১১,০০০ বাসিন্দার মধ্যে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।
সাম্প্রতিককালে দিল্লিতে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১,৯৬৪। কোভিডের পাশাপাশি দিল্লির হাসপাতালগুলিতে ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বস্তুত, ১৬ অগস্ট দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার সতর্কবার্তা ছিল, ‘‘অতিমারি যে এখনও রয়েছে, তা বোঝা উচিত। ফলে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করার ঝুঁকি নিতে পারি না আমরা। কোভিডবিধি মেনে চলার জন্য সকলকে অনুরোধ করছি।’’