মুখ ঢেকে আত্মসমর্পন করতে আদালতে এসে হাজির প্রাক্তন মন্ত্রী মঞ্জু বর্মা। ছবি: পিটিআই।
মুজফ্ফরপুর বেসরকারি হোম কাণ্ডে ফের সুপ্রিম কোর্টের কাছে ধমক খেল নীতীশ কুমারের সরকার। প্রশ্ন তুলল, কেন এত দিন ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা এবং পকসো আইনে এফআইআর দায়ের করা হয়নি? নির্যাতিত ওই শিশুরা কি দেশের নাগরিক নয়! গোটা মামলায় রাজ্যের ভূমিকা অমানবিক, দুর্ভাগ্যজনক এবং দায়িত্বহীনের মতো বলেও উল্লেখ করেছে আদালত। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষার আইনে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। এ দিনের শুনানিতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মুজফ্ফরপুর কাণ্ডে প্রাক্তন মন্ত্রী মঞ্জু বর্মা এবং চন্দ্রশেখর বর্মার বিরুদ্ধে রাজ্যের ভূমিকায় এর আগেও ক্ষোভ জানিয়েছিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশের পরেই স্বামী-স্ত্রী আত্মসমর্পণ করেন। আপাতত জেলে রয়েছেন তাঁরা। তদন্তের অগ্রগতি না হওয়ায় সিবিআইকেও তিরস্কার করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
গত মে মাসে জমা পড়া টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের সামাজিক সমীক্ষায় বিহারের ১৭টি ‘শেল্টার হোম’-এ যৌন অত্যাচারের বিষয় উঠে এসেছিল। তার পরেই শুধুমাত্র মুজফ্ফরপুর হোমের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। বাকি ১৬টি বিরুদ্ধে সে ভাবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট এ দিন সিবিআইয়ের কাছে জানতে চায়, তাঁরা ১৭টির মধ্যে ন’টির তদন্তভার নিতে পারবে কি না। উত্তর পেলে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ জারি করবে।