—প্রতীকী চিত্র।
২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল না সুপ্রিম কোর্ট। সন্তানের জন্ম দিলে ওই মহিলার প্রাণের ঝুঁকি নেই। সেই যুক্তিতেই তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সন্তানের জন্ম মহিলাকে দিতেই হবে। তবে তার পর সন্তানটিকে তিনি মানুষ করবেন, না কি দত্তক নেওয়ার জন্য দিয়ে দেবেন, সেই সিদ্ধান্ত তিনি বা তাঁর বাবা, মা নিতে পারবেন।
শীর্ষ আদালতে গর্ভপাতের আবেদন জানানো ওই মহিলা বিবাহিত। আদালত জানিয়েছে, তিনি দিল্লির এমস হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারবেন। তাঁর চিকিৎসার খরচ বহনের জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
মহিলা পোস্টপার্টাম সাইকোসিস নামের একটি রোগে ভুগছেন। এই রোগে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর মায়ের শারীরিক অসুস্থতার ঝুঁকি থাকে। সেই কারণেই গর্ভপাতের আবেদন জানিয়েছিলেন মহিলা। মামলার শুনানিতে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আবেদনকারী ২৬ সপ্তাহ ৫ দিনের অন্তঃসত্ত্বা। সন্তানের জন্য ওঁর প্রাণের কোনও ঝুঁকি নেই। ভ্রুণেও কোনও অস্বাভাবিকত্ব নেই। এই অবস্থায় গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি আইনের ৩ এবং ৫ নম্বর ধারার বিরোধী।’’
এমসের চিকিৎসকেরাও জানিয়েছেন, রোগের কারণে মহিলা যে ওষুধপত্র খাচ্ছেন, তাতে তাঁর সন্তানের স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি হচ্ছে না। সন্তানের জন্মের পরেও তাৎক্ষণিক ভাবে তাঁর প্রাণের কোনও ঝুঁকি নেই। সব দিক বিবেচনা করেই তাই গর্ভপাতের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি আইন অনুযায়ী, বিশেষ পরিস্থিতিতে ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভাবস্থায় গর্ভপাতের অনুমতি মিলতে পারে। তার পরেও মায়ের প্রাণের ঝুঁকি থাকলে বা অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ কারণে গর্ভপাত করানো যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সেই অনুমতি দেয়নি আদালত।