উচ্চ বর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিরুদ্ধে মামলায় কেন্দ্রকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের।
উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিরুদ্ধে মামলায় কেন্দ্রকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। প্রাথমিক শুনানির পর এই নোটিস দিয়ে কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর বেঞ্চ। যদিও সংরক্ষণের উপর স্থগিতাদেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত।
উচ্চবর্ণের আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করে ইয়ুথ ফর ইকুয়ালিটি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি সঞ্জীব গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। প্রাথমিক শুনানির পর কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়ে শুক্রবার এই নোটিস জারি করল শীর্ষ আদালত। তবে কত দিনের মধ্যে কেন্দ্রের অবস্থান জানাতে হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
সংবিধানের ১০৩ তম সংশোধন করে সাধারণ শ্রেণির আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ বিল পাশ হয়। শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দু’দিনেই এই বিল পাশ হয়ে যায় লোকসভা ও রাজ্যসভায়। তার তিন দিনের মধ্যেই রাষ্ট্রপতিও বিলে সই করেন। ফলে ১৪ অগস্ট থেকে ওই বিল আইনে পরিণত হয় ১০ শতাংশ সংরক্ষণ।
আরও পড়ুন: জমি কেলেঙ্কারিতে বিপাকে হুডা! হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি
আরও পডু়ন: চিনকে সমর্থন, প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কটের ডাক দিল মিজোরাম
কিন্তু রাষ্ট্রপতির সইয়ের আগেই এই বিলকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে ইয়ুথ ফর ইকুয়ালিটি। সংগঠনের দাবি, ১৯৯২ সালে সরকার বনাম ইন্দিরা সহানী মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ই এই সংরক্ষণের পরিবন্থী। ওই মামলায় শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, শুধুমাত্র আর্থিক অবস্থার প্রেক্ষিতে সংরক্ষণ নির্ধারণ করা ঠিক নয়। তাছাড়া সব মিলিয়ে ৫০ শতাংশের বেশি আসন সংরক্ষিত রাখা যাবে না বলেও রায় রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)