ছবি: সংগৃহীত।
গুজরাত থেকে রাজ্যসভার দু’টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল। একই দিনে নির্বাচন হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন দু’টি আসনের জন্য আলাদা বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। ফলে দুই আসনে আলাদা ভাবে ভোট হয়। সেই সুবাদে দু’টিতেই জিতে যায় বিজেপি। তার মধ্যে একটিতে জিতে সংসদে এসেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
জয়শঙ্করের নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলায় আজ সুপ্রিম কোর্ট নোটিস জারি করেছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে বিদেশমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্যদের বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রীর হয়ে নোটিস গ্রহণ করেছেন তাঁর আইনজীবী হরিশ সালভে।
রাজ্যসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়া কংগ্রেস নেতারা প্রথমে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু হাইকোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। এ বার তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন একই সময়ে দু’টি রাজ্যসভা আসনের ভোটকে আলাদা ভাবে ধরেছে। ফলে দু’টি আসনের জন্য বিধায়কেরা আলাদা ভাবে ভোট দিয়েছেন। বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক নিয়ে আসনগুলিতে জিতে গিয়েছে। একসঙ্গে ভোট হলে বিজেপি একটি আসন পেত।
নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টে যুক্তি দিয়েছে, একটি আসন স্বাভাবিক নিয়মে খালি হয়েছে। অন্য আসনটি মেয়াদের মাঝপথে খালি হয়েছে। এর আগে উত্তরপ্রদেশেও রাজ্যসভার ভোটে জয়া বচ্চন ও অনিল অম্বানীর নির্বাচনের সময়ে এক দিনে ভোট হলেও দু’টি আসনে তা আলাদা ভাবে হয়েছিল। সেখানেও একই কারণ ছিল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডে জানিয়েছেন, এ ভাবে কমিশন পৃথক ভোট করতে পারে কি না, তা নিয়ে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট রায় ঘোষণা করবে। কারণ, এ বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে।
২০১৯-এ বারাণসী থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করেও সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছিল। বিএসএফ থেকে বরখাস্ত হওয়া তেজ বাহাদুর ওই মামলা করেছিলেন। তেজ বাহাদুর বারাণসীতে প্রার্থী হতে চাইলেও তাঁর মনোনয়ন খারিজ হয়ে যায়। এর বিরুদ্ধেই তিনি শীর্ষ আদালতে পৌঁছেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আজ ওই মামলায় রায় সংরক্ষিত রেখেছে।