Pegasus Spyware

‘স্পাইঅয়্যার’ ব্যবহার করা ভুল নয়, প্রশ্ন হল কার বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে! পেগাসাস নিয়ে বলল সুপ্রিম কোর্ট

কোনও দেশ নিরাপত্তার জন্য ‘স্পাইঅয়্যার’ ব্যবহার করায় কিছু ভুল নেই। তবে কার বিরুদ্ধে সেটি ব্যবহার হচ্ছে, সেটিই প্রশ্ন। পেগাসাস মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:০০
Share:
সুপ্রিম কোর্টে পেগাসাস মামলা।

সুপ্রিম কোর্টে পেগাসাস মামলা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

কোনও দেশ নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ‘স্পাইঅয়্যার’ ব্যবহার করলে তাতে ভুল কিছু নেই। তবে নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে সেটি ব্যবহারের অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হবে। ইজ়রায়েলি সংস্থার নির্মিত ‘স্পাইঅয়্যার’ পেগাসাস সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘স্পাইঅয়্যার’ ব্যবহার করা কোনও ভুল নয়। তবে প্রশ্ন হল, কার বিরুদ্ধে সেটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

Advertisement

‘পেগাসাস’-এর অপব্যবহারের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কিছু মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সাংবাদিক, বিচারক, সমাজকর্মী-সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের উপর আড়ি পাতার জন্য এই স্পাইঅয়্যারটি কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবহার করছে। সেই মামলার শুনানিতে আদালতের প্রশ্ন, “যদি কোনও দেশ স্পাইঅয়্যার ব্যবহার করে, তাতে ভুল কী? স্পাইঅয়্যার থাকায় কোনও সমস্যা নেই। দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনও আপস করা যাবে না। তবে সংবিধানে একটি সভ্য সমাজে কোনও ব্যক্তিবিশেষের গোপনীয়তার অধিকার সুরক্ষিত। সে ক্ষেত্রে তাঁদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা যেতে পারে।”

পাশাপাশি পেগাসাসের অপব্যবহারের অভিযোগ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টও প্রকাশ্যে আনা যাবে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এটিকে ‘রাস্তাঘাটে আলোচনায় বিষয়’ করে দিতে চায় না আদালত। শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চের বক্তব্য, ‘দেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব’-এর সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে না। তবে যাঁরা প্রভাবিত হয়েছেন বলে মনে করছেন, তাঁরা চাইলে ওই রিপোর্টের বিষয়ে তাঁদের তথ্য দেওয়া যেতে পারে। আগামী ৩০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

বস্তুত, ইজ়রায়েলি সংস্থার তৈরি ‘স্পাইঅয়্যার’ ঘিরে বিতর্ক ছড়ানোর পর বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আরভি রবীন্দ্রনের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি ২০২২ সালের জুলাই মাসে একটি রিপোর্ট জমা দেয় আদালতে। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, অনুসন্ধানের পরে কমিটি জানিয়েছিল, তথ্য যাচাইয়ের পরে ২৯টি মোবাইল ফোনে স্পাইঅয়্যার পাওয়া যায়নি। ওই ২৯টি যন্ত্রের মধ্যে পাঁচটিতে কিছু ‘ম্যালঅয়্যার’ পাওয়া গিয়েছিল, তবে তা পেগাসাস নয়। ওই অনুসন্ধানের সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সহযোগিতা মেলেনি বলেও জানিয়েছিল কমিটি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement