Godhra

গোধরা পরবর্তী দাঙ্গায় দোষী ১৪ জনের জামিন মঞ্জুর সুপ্রিম কোর্টে

গোধরা পরবর্তী সময়ে সর্দারপুরা গ্রামে ৩৩ জন মুসলিমকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় মোট ৩১জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৩:০৪
Share:

সর্দারপুরা কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল ওই ১৪ জন। —ফাইল চিত্র।

গোধরা পরবর্তী দাঙ্গা মামলায় নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত ১৪ জনের জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁদের। বলা হয়েছে, জামিন পেলেও গুজরাতে ঢুকতে পারবেন না তাঁরা। জেলের বাইরে থাকাকালীন তাঁদের সমাজসেবামূলক কাজ করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

Advertisement

গোধরা পরবর্তী সময়ে সর্দারপুরা গ্রামে ৩৩ জন মুসলিমকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় মোট ৩১জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল, যার মধ্যে ১৪ জনকে আগেই বেকসুর খালাস করেছে গুজরাত হাইকোর্ট। বাকি ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনায় আদালত। নিম্ন আদালতের সেই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের ডিভিশন বেঞ্চ তার শুনানি করছিল। সেখানে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ১৪জনের জামিন মঞ্জুর হয়।

তবে জামিন মঞ্জুর হলেও ওই ১৪ জন এখনই গুজরাতে ফিরতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। দু’টি দলে ভাগ করে তাঁদের মধ্যপ্রদেশের জবলপুর এবং ভোপালে সরিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেখানে তাঁদের আধ্যাত্মিক এবং সমাজসেবামূলক কাজের বন্দোবস্ত করে দিতে বলা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। জামিনে বাইরে থাকাকালীন তাঁদের আচরণ ও কাজ নিয়ে একটি রিপোর্টও তৈরি করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতায় এলে এক ঘণ্টায় ফাঁকা করে দেব শাহিনবাগ’, হুমকি আরেক বিজেপি সাংসদের

২০০২ সালে গোধরা পরবর্তী দাঙ্গা গোটা গুজরাত যখন জ্বলছে, তখনই মেহসানার বিজাপুর তহসিলের সর্দারপুরা গ্রামে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর চড়াও হয় একটি দল। আতঙ্কে নিজেদের মাটির বাড়ি ছেডে় পাড়ার একটি পাকাবাড়িতে আশ্রয় নেন কিছু মানুষ। কিন্তু চারপাশে পেট্রল ঢেলে ওই বাড়িটিকেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তাতে ২২ জন মহিলা-সহ মোট ৩৩ জন প্রাণ হারান।

আরও পড়ুন: দিল্লি-কেরল-মহারাষ্ট্র-পঞ্জাব, করোনাভাইরাসের আতঙ্ক দ্রুত ছড়াচ্ছে রাজ্যে রাজ্যে

সেই ঘটনায় মোট ৭৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল বিশেষ তদন্তকারী দল।২০০৯ সালের জুনে তাঁদের মধ্য থেকে ৭৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়। ২০১২ সালে তাঁদের মধ্য থেকে ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিশেষ ফাস্টট্র্যাক আদালত। তার চার বছর পর ওই ৩১ জনের মধ্য থেকে আবার ১৪ জনকে বেকসুর খালাস করে গুজরাত হাইকোর্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement