Babri Masjid Demolition Case

আডবাণী-জোশীদের নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে আরও এক মাস সময় সিবিআই আদালতকে

এর আগে ৩১ অগস্টের মধ্যে শুনানি শেষ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২০ ২০:৪২
Share:

—ফাইল চিত্র।

অযোধ্যায় রাম মন্দিরের শিলান্যাস হয়ে গিয়েছে হইহই করে। কিন্তু বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলা এখনও আদালতেই ঝুলছে। সেই মামলায় রায় শোনানোর জন্য লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতকে আরও এক মাস সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিজেপির প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, উমা ভারতী এবং মুরলীমনোহর জোশীরা এই মামলায় অভিযুক্ত। বাবরি ধ্বংসে তাঁদের ভূমিকা নিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রায় শোনাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

এর আগে ৩১ অগস্টের মধ্যে শুনানি শেষ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো ৫ জুন থেকে একে একে প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহ, বিজেপির প্রবীণ নেতা মুরলী মনোহর জোশী, উমা ভারতী, বিনয় কাটিয়ার, সাধ্বী রীতাম্ভরা-সহ ৩২ জন অভিযুক্তের বয়ান রেকর্ড শুরু হয়। কিন্তু তার পরেও নির্ধারিত দিনের মধ্যে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি সিবিআই আদালত। তাই তাদের আরও এক মাস সময় দেওয়া হল।

লকডাউন চলাকালীন গত মাসে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। সেখানে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন তিনি। আডবাণীর আইনজীবী কে কে মিশ্র আদালতে জানান, ৯২ বছরের প্রবীণ নেতাকে ভুয়ো অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত প্রমাণ সামনে আনা হয়েছে, সেগুলি ভুয়ো। আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন মুরলী মনোহর জোশীও।

Advertisement

আরও পড়ুন: অতিমারিতে ‘বলির পাঁঠা’ হয়েছেন তবলিগি জামাতরা, মন্তব্য আদালতের​

বাবরি মামলায় আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে শুনানি চলাকালীনই গত ৫ অগস্ট অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন উমা ভারতীয় তবে আডবাণী এবং জোশীকে দেখা যায়নি। অনুষ্ঠানের এক দিন আগে ফোনে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয় বলে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়। কিন্তু তাঁরা আমন্ত্রণ গ্রহণ করেননি বলে জানায় একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

আরও পড়ুন: প্রণবের শারীরিক অবস্থা একই রকম, রয়েছেন ভেন্টিলেশনেই​

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় করসেবকরা মিলে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেন। সেইসময় রাম মন্দির আ্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং মুরলী মনোহর জোশীরা। উস্কানিমূলক মন্তব্য করে তাঁরা করসেবদের ভাঙচুর চালাতে ইন্ধন জুগিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ওই মামলায় শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের নামেও মামলা দায়ের হয়। মৃত্যুর পর মামলা থেকে তাঁর নাম তুলে নেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement