শশিকলা।—ফাইল চিত্র।
পুদুচেরির বিলাসবহুল রিসর্টে ১৯ বিধায়ককে আটকে রেখে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে এখনও নিজের প্রভাব বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শশিকলা। আর এই সময়েই দেশের শীর্ষ আদালতে আজ বড়সড় ধাক্কা খেলেন তিনি। কর্নাটকের জেল থেকে মুক্তির জন্য শশীর আর্জি এ দিন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
জয়ললিতার বান্ধবী শশিকলা শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন, যে হেতু তিনি কোনও সময়েই সরকারি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, তাই আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলা তাঁর ক্ষেত্রে টেঁকে না। এই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হয়ে ৪ বছরের জেল হয়েছে শশিকলার। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আজ স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, শশিকলাকে নিয়ে মামলার রায়ে কোনও ভুল দেখছেন না তাঁরা। ফলে রায় বদলানোর প্রশ্ন নেই। জেলেই ৪ বছর কাটাতে হবে শশিকলাকে।
তবে জেল থেকে গোপনে বের হওয়ার ভিডিও প্রকাশের পরে শশিকলার সঙ্কট আজ আরও বেড়েছে। কর্নাটক পুলিশের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল ডি রূপা, জেলে শশীর জন্য ভিআইপি ব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এ বার তিনি দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ করেছেন, শশিকলা যেখানে বন্দি রয়েছেন, কর্নাটকের সেই পরাপন্না অগ্রহরা কেন্দ্রীয় জেলের কাছেই হোসুর কেন্দ্রের এডিএমকে-র বিধায়কের বাড়ি। তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই জেলের বাইরে বেরিয়েছিলেন শশিকলা। বিশ্বস্ত সূত্রে তাঁর কাছে এমন খবর এসেছে বলেই জানিয়েছেন রূপা।
শশিকলার মুক্তির স্বপ্ন সফল না হলেও তাঁর ঘনিষ্ঠ ১৯ বিধায়কের জন্য বিলাসের যাবতীয় বন্দোবস্ত করেছেন ভাইপো টিটিভি দিনকরণ। শর্ত একটাই, রিসর্ট ছেড়ে যেতে পারবেন না কেউ। কাল রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পলানীস্বামীকে বরখাস্তের দাবি তোলার পরে ওই বিধায়কেরা কোথায় গিয়েছেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত আজ খবর মিলেছে যে দিনকরণ এঁদের পুদুচেরির উইন্ডফ্লাওয়ার রিসর্ট স্পা-তে নিয়ে গিয়েছেন। সেখানে বসেই রাজ্য রাজনীতিতে শশিকলাকে প্রাসঙ্গিক করে রাখতে চাল দিচ্ছেন তাঁরা।
তামিলনাড়ুর বিবদমান দুই শিবিরের মিলনের শর্তই ছিল, শশিকলা ও তাঁর ভাইপো দিনকরণকে বহিষ্কার করতে পদক্ষেপ করা। এ বার পাল্টা পদক্ষেপ করতে শুরু করলেন দিনকরণও। এডিএমকে-র সম্পাদকের পদ থেকে রাজস্বমন্ত্রী উদয়কুমারকে আজ বরখাস্ত করে দিয়েছেন তিনি।